
মোদী-ট্রাম্প বন্ধুত্ব
তবে আসন্ন মার্কিন নির্বাচন এই মনোভাবে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে? ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথম থেকেই অন্ধ ভাবে মেনে এসেছিলেন যে আমেরিকায় বসবাসরত ভারতীয় বংশদ্ভূতরা তাঁকে ভোট দেবেন। কারণ তাঁর সঙ্গে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সখ্যতা। হিউস্টনে হাউডি মোদী হোক বা আহমেদাবাদে নমস্তে ট্রাম্প। দুই রাষ্ট্রনেতাকে দেখা গিয়েছে একে অপরকে সাহায্য করতে।

রাজনৈতিক ভাবে কোণঠাসা হয়েছেন ট্রাম্প
কিন্তু আমেরিকার বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক ভাবে কোণঠাসা হয়েছেন ট্রাম্প। জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যু থেকে শুরু করে করোনা পরিস্থিতিতে নাজেহাল রিপাবলিকান প্রশাসন। তার উপর বেকারত্ব তো রয়েছেই। এরই মাঝে ট্রাম্পের অভিবাসী নীতি ঘুম কেড়েছে সেদেশে থাকা ভারতীয়দের। এহেন পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের থেকে মুখ ঘুরিয়ে ডেমোক্র্যাটদের দিকে যাচ্ছেন ভারতীয় ভোটাররা।

মার্কিন মুলুকে থাকা প্রবাসীরা ডেমোক্র্যাট সমর্থক হিসাবে পরিচিত
ঐতিহাসিক ভাবে মার্কিন মুলুকে থাকা প্রবাসী ভারতীয়রা ডেমোক্র্যাট সমর্থক হিসাবে পরিচিত হলেও গত কয়েক বছরে চিত্রটা বদলে গিয়েছিল। তবে ফের পুরোনো সমীকরণে ফিরছেন প্রবাসী ভারতীয়রা। ইঙ্গিত সেরকমই। সম্প্রতি ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জো বাইডেনের হয়ে এক সন্ধায় প্রবাসী ভারতীয়রা ৩.৩ মিলিয়ন ডলার তহবিল জোগাড় করেছেন।

বাইডেনের ‘কমলা হ্যারিস ট্রাম্প-কার্ড’
তবে এখানেও একটি ‘কিন্তু’ সদর্পে দাঁড়িয়ে আছে প্রবাসী ভারতীয় এবং বাইডেনের মাঝে। ভারতীয়দের কাছে টানতে তুরুপের তাস হিসাবে কমলা হ্যারিসকে নিজের রানিং মেট হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন বাইডেন। তবে কাশ্মীর থেকে সিএএ, এই সব ইস্যুতে কমলা দাঁড়িয়ে বর্তমান ভারত সরকারের বিপরীত মেরুতে। তবে প্রবাসীদের স্পষ্ট বক্তব্য, ভোট চাই? নীতি বদল করো।

লাদাখ ইস্যুতে ভারতের পাশে থাকার বার্তা
কমলা হ্যারিসকে রানিং মেট হিসাবে দাঁড় করিয়ে তহবিল জোগাড় তো বাইডেন করে নিয়েছএন প্রবাসী ভারতীয়দের কাছ থেকে। তবে নির্বাচন জিততে প্রয়োজন ভোট। ভারতী বান্ধব নীতি যদি বাইডেনের ডাইরিতে না থাকে তবে প্রবাসীরা কেন ভাট দেবেন তাঁকে। সেই বিষয়টি যে বাইডেন জানেন না, এমনটা নয়। লাদাখ ইস্যুতে ভারতের পাশে থাকার বার্তা আগেভাগেই দিয়ে রেখেছেন বাইডেন।

মার্কিন নির্বাচনেও কাশ্মীর-সিএএ-এনআরসি ইস্যু
তবে লাদাখ ইস্যুতে ভারত যে আমেরিকার সমর্থন পাবে তা তো সবাই প্রায় নিশ্চিত। কারণ সরকার যে দলেরই হোক, চিন বিরোধিতার সুরে পিছপা হবে না কোনও পক্ষই। তবে যে সকল ইস্যুতে আমেরিকা এখনও ভারতকে অস্বস্তিতে ফএলে, সেই কাশ্মীর-সিএএ-এনআরসির ক্ষেত্রে প্রবাসীদের দাবি, সুর বদল করতে হবে।

ভোটের ময়দানে কি নীতি আকড়ে থাকবেন বাইডেন-কমলা জুটি?
যদিও এই বিষয়টা কারোরই অজানা নয় যে জো বাইডেন সিএএ-এনআরসি ইস্যুতে ভারত সরকারের বিরোধিতা করেন। কমলা হ্যারিসও তাই। এই দুই নেতারই মত, ভারত এবং আমেরিকার ধর্ম নিরপেক্ষ মতবাদের পরিপন্থি এই আইন। তবে এখন ভোটের ময়দানে কি নীতি আকড়ে প্রতিপক্ষ ট্রাম্পকে সুবিধা করে দিতে রাজি বাইডেন? সব থেকে বড় প্রশ্ন এটাই।