
তিন সীমান্তের গ্রামের বাসিন্দারা কী বলছেন?
প্রধানমন্ত্রীকে লেখা একটি চিঠিতে অরুণাচলের তিন সীমান্তের গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ২০১৮ সাল থেকে যে ন্যাশনাল হাইওয়ের কাজটি পড়ে রয়েছে, তা সত্ত্বর যেন শেষ হয়। নয়তো বড়ৃসড় আশঙ্কায় পড়ে যাচ্ছেন তাঁরা। বিশেষত চিন যেখানে সীমান্তে পেশী আস্ফালন করছে, সেরকম পরিস্থিতিতে এই সড়ক যোগাযোগ প্রয়োজনীয় বলে জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে।

কোন আতঙ্কে সীমান্তের গ্রাম?
কার্যত লাদাখের মতো অরুণাচল সীমান্তের গ্রামগুলিও একইভাবে চিনা আগ্রাসন নিয়ে আতঙ্কে রয়েছে। চিন দাবি করেছে, তাদের দক্ষিণ তিব্বত এলাকার মধ্যে পড়ে অরুণাচল প্রদেশ। ১৯৬২ সালের যুদ্ধে অরুণাচলের আপার সুবানসিরি এলাকা চিনের নজরে ছিল। এমন এক পরিস্থিতিতে ওই হাইওয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীর কাছে ত্রাতা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

রাস্তা নির্মাণ হলে কী সুবিধা হবে গ্রামবাসীদের?
এই রাস্তা নির্মিত হলে সীমান্তের গ্রামগুলিতে সেনার রসদ পৌঁছানো সম্ভব হবে। ফলে নিরাপত্তার দিকটি গ্রামবাসীদের জন্য সুনিশ্চিত হবে। এছাড়াও আপার সুবানসিরি এলাকার সঙ্গে ইটানগর, সিয়াং, কামলে এলাকা সংযুক্ত হবে। এদিকে, অরুণাচল সীমান্তে বাকি যে রাস্তাগুলি রয়েছে, যা ইটানগরের সঙ্গে সংযুক্ত তার অবস্থা অত্যন্ত বেহাল। ফলে চিনা আগ্রাসনকে নজরে রেখে এই রাস্তা অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করা হচ্ছে।

সেনার তরফে কোন বার্তা
আপার সুবানসিরি সহ অরুণাচল সীমান্তের একাধিক জায়গায় রয়েছে গভীর জঙ্গল। আর সেখান পর্যন্ত ভারতীয় সেনার জওয়ানদের রসদ পৌঁছতে সমস্যা হচ্ছে বলে খবর। এলাকা জুড়ে গভীর জঙ্গলে রোজের টহলদারির জন্য স্থানীয়রা সেনা জওয়ানদের সাহায্য করছেন বলে জানিয়েছে সেনা।