
দ্রুত ভারতে আসছে করোনার ন্যাজাল ভ্যাকসিন
ইতিমধ্যেই ভারত বায়োটেকের হাতে তৈরি কোভ্যাক্সিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে মিলিছে আশাব্যঞ্জক ফল। বাঁদরের শরীরে করোনা প্রতিরোধে বড়সড় পাঁচিল তুলতে সক্ষম হয়েছে এই ভ্যাকসিন। মানুষের শরীরেও চলছে ট্রায়াল পর্ব। এমতাবস্থায় এবার ভারতের বায়োটেকের হাত ধরেই দেশে আসছে করোনার ন্যাজাল ভ্যাকসিন।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

১০০ কোটি ডোজ তৈরির পরিকল্পনা ভারত বায়োটেকের
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে মার্কিন ফার্মা ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিনের সঙ্গে চুক্তিও সেরেছে ভারত বায়োটেক। ওই চুক্তি অনুযায়ী এই ন্যাজাল ভ্যাকসিনের ১০০ কোটি ডোজ তৈরির পরিকল্পনা করেছে এই ভ্যাকসিন নির্মাতা সংস্থা। আর কেকটি পরীক্ষা-নিরিক্ষার পরেই চুক্তিমাফিক হায়দরাবাদের ওয়ার্কশপেও এই ভ্যাকসিনের বিপুল পরিমাণে উৎপাদন শুরু হয়ে যাবে বলে জানা যাচ্ছে।

কী ভাবে কাজ করে এই বিশেষ ধরণের ভ্যাকসিন
একইসাথে আমেরিকা, ইউরোপ ও জাপান ছাড়া বিশ্বের যে কোনও দেশেই কোভিড প্রতিরোধী এই ইন্ট্রান্যাজাল ভ্যাকসিনের বিপুল উৎপাদন ও বিতরণের ছাড়পত্র পেয়েছে হায়দরাবাদের এই ভ্যাকসিন নির্মাতা সংস্থা। ভারত বায়োটেকের চেয়ারম্যান তথা ম্যানেজিং ডিরেক্টর কৃষ্ণা এল্লা এই প্রসঙ্গে বলছেন এই ধরণের ইন্ট্রান্যাজাল ভ্যাকসিন নিতে ইঞ্জেকশন বা সিরিঞ্জের দরকার পড়ে। এমনকী এর খরচ কম। একইসাথে অনেক বেশি মানুষের শরীরে একইসময়ে এই ভ্যাকসিনের প্রয়োগও সম্ভব।

প্রথম ও দ্বিতীয় দফার ট্রায়ালে মিলিছে সাফল্য
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই সেন্ট লুইসে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির ভ্যাকসিন অ্যান্ড ট্রিটমেন্ট ইভ্যালুয়েশন ইউনিটে এই ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে বেশ চমকপ্রদ ফল মিলেছে বলেই জানাচ্ছেন গবেষকেরা। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন শরীরে এই ভ্যাকসিনের একটি ডোজ প্রয়োগের পরেই তৎক্ষণাত কাজ শুরু হয়ে যায়। যেহেতু শ্বাসনালী দিয়ে এই টিকার ডোজ শরীরে ঢোকেতাই শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ কমানোর পাশাপাশি মুখ, নাক, গলার সংক্রমণ কমাতেও বিশেষ ভূমিকা রাখছে এই ইন্ট্রান্যাজাল ভ্যাকসিন।