Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

শরিকি কোন্দল বিহারেও, সংঘাতের রাস্তায় অকালি দল
এদিকে বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের আগে নিজেদের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়িতে নেমেছে এনডিএ জোটের দুই শরিক এলজেপি-জেডিইউ। সেখানেও আসন রফা নিয়ে রেফারির ভূমিকায় দেখা গেছে বিজেপিকে। অন্যদিকে বর্তমানে কৃষি বিল নিয়েও বিজেপির সঙ্গে সরাসরি সংঘাতের রাস্তায় হেঁটেছে পাঞ্জাবে বিজেপির অন্যতম প্রধান শরিক শিরোমনি অকালি দল।

ঘরে বাইরে চাপের মুখে পড়েও কেন এত নিরুত্তাপ পদ্ম শিবির ?
যদিও এত চাপ সত্ত্বেও শরিকি বিবাদ নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামাতে দেখা যাচ্ছে না পদ্ম শিবিবরের নেতাদের। বর্তমানে সংসদের বাদল অধিবেশনে যে ভাবে একাধিক বিল পাশ করতে আগ্রাসী হয়ে উঠেছে কেন্দ্র তাতে যে তারা বিরোধী শিবিরের পাশাপাশি শরিকি কোন্দলকেও বিশেষ পাত্তা দিচ্ছে না তা স্পষ্ট। এদিকে এনডিএ জোটে থাকা যে সমস্ত দল বিজেপি বিরোধীতায় অবতীর্ণ হয়েচে তাদের বেশির ভাগি আঞ্চলিক শক্তি হিসাবেই দেখা যাচ্ছে।

লোকসভা-রাজ্যসভার শক্তিবৃদ্ধিতেই কি এই আস্ফালন ?
এদিকে গত বছরেই মহারাষ্ট্রেও আর এক জোট সঙ্গী শিবসেনাকে হারিয়েছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রীত্বের লড়াইয়ে সেখানেও ছেদ পড়েছে শিবসেনা-বিজেপির দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বে। বর্তমানে প্রায় কার্যত সাপে-নেউল সম্পর্ক দুটি দলের। এদিকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে লোকসভায় এইতিমধ্যেই সংখ্যা গরিষ্ঠ জায়গায় রয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে কংগ্রেস থেকে একাধিক নেতা-সংসদদের পদত্যাগের পর রাজ্যসভাতেও ধীরে ধীরে অনেকটাই শক্তি বাড়িয়েছে বিজেপি। এমতাবস্থায় রাজ্যস্তরে ক্ষমতা দখলকেই প্রধান লক্ষ্য করে এগোতে চাইছে পদ্ম শিবির।

কৃষি বিলেও অনড় বিজেপি
এদিকে গত বছরে শিরিকি বিবাদের জেরে শিবসেনার পাশাপাশি আর এক জোট সঙ্গী তেলেগু দেশম পার্টিওকেও হারায় বিজেপি। সম্প্রতি কৃষি বিলের প্রতিবাদে অকালি দলের অন্যতম পরিচিত মুখ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরসিমরত কৌর বাদল মোদী মন্ত্রীসভা ছাড়লেও কার্যত উদ্বেগহীন অবস্থায় থেকেছেন বিজেপি নেতারা। যেন তাদের চোখে মুখে স্পষ্ট জবাব, “যাচ্ছ যাও আমরা আমাদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকছি।”

শরিকি বিবাদের জেরে সংসদে কতটা শক্তিক্ষয় হতে পারে বিজেপির ?
এদিকে ২০১৪ সালে যেখানে রাজ্যসভায় বিজেপির সাংসদ সংখ্যা ছিল ২৩। বর্তমানে তা বেড়ে ৮৭ তে পৌঁছেছে। জোট বলে তা ২৫০ আসনের রাজ্যসভায় বড়জোর ১০০ ছাড়িয়ে যায়। পাশাপাশি লোকসভায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠতাতেই ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে এই তথ্য মাথায় রেখেই শরিকি কোন্দলকে বিশেষ পাত্তা দিতে চাইছে না বিজেপি।

আদৌও কি শক্তি হারাচ্ছে বিজেপি ?
এদিকে এনডিএ জোটে বিজেপির পাঁচ প্রধান অংশীদার ছিল – তেলুগু দেশম পার্টি, অকালি দল, শিবসেনা, পিডিপি এবং জেডি (ইউ)। জেডিইউ বাদে শিবসেনা ও তেলুগু দেশম গত বছর জোট ছেড়ে বেরিয়ে যায়। এবার অকালি দলও সেই রাস্তায় হাঁটতে চলেছে। পিডিপির সাথেও সংঘাত দৃঢ় হয়েছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন এর জেরে ভিতরে ভিতরে বিজেপির সাংগঠনিক কাঠামো দুর্বল হয়ে পড়লেও তা মানতে নারাজ গেরুয়া শিবিরের নেতারা।