রিপোর্টার শ্যামল কুমার সিনহার,হুগলী, চুঁচুড়া,বেঙ্গল টুডে:
”তুই লাল পাহাড়ির দ্যাশে যা, রাঙা মাটির দ্যাশে যা , এখানে তোকে মানাইছে নাই রে, ইক্কেবারে মানাইছে নাই রে।” শ্রীরামপুর স্টেশনে মহুয়া গাছ দেখে একটি আস্ত কবিতাই লিখে ফেলেছিলেন তিনি, আর এই কবিতাই পরবর্তীতে গান হয়ে এখন সর্বত্র জনপ্রিয় , দেশ বিদেশের মানুষের মুখে মুখে ঘুরছে। এই কবিতার রচনাকার আর কেউ নন, তিনি বাউলকবি অরুণকুমার চক্রবর্তী। ১৬ই সেপ্টেম্বর, বুধবার কবির ৭৫ বছর পূর্ণ হলো। তাঁর জন্মদিনকে কেন্দ্র করে চুচু্ঁড়ার ফার্ম সাইড রোডের সোনাঝুড়ি বাড়ীতে বেশ খুশীর হাওয়া দেখা গেল। দুই ছেলে, দুই নাতিকে নিয়ে রীতিমতো হৈ হৈ ব্যাপার।পরিবারের সকলকে নিয়ে কেকও কাটা হলো ষোলো সেপ্টেম্বর সকালে। এইদিন জন্মদিনের উল্লেখয়োগ্য অনুষ্ঠান কবির কাব্যিক জ্যামিতিবাদকে নিয়ে বই, ”কবিতাবন্দী জ্যামিতি- জ্যামিতি বন্দী কবিতা”, বইটি প্রকাশও হলো সাড়ম্বরে হুগলীর একটি সংবাদ মাধ্যমের অফিসে।
তাঁর এই বইটির বিষয়ে কবি অরুন কুমার চক্রবর্তী বলেন, এই বই তাঁর এক অন্যরকমের চিন্তনের ফসল, এমনকি পরবর্তী তে বই টি ফরাসি ও স্প্যানিস ভাষায় প্রকাশ করতে চান বলে তিনি জানিয়েছেন।এই বইটি প্রকাশ অনুষ্ঠানে, রুদ্রেনদু প্রকাশ পাকড়াসী, সাঁতারু তিয়াসা মন্ডলের মত ব্যক্তিত্বরা উপস্হিত ছিলেন। ছোটবেলা থেকে বাঁকুড়া, বীরভূম, পুরুলিয়ার বাউল এবং আদিবাসীদের টানে লিখেছেন অসংখ্য কবিতা। “অরণ্য হত্যার শব্দ”, “জলছুরি কাটছে পাথর”, ইত্যাদি বইগুলি পাঠকদের আজও যে টানে তাবলাই বাহুল্য। তবে এই করোনা কালে কবির প্রার্থনা সকলকে একসঙ্গে থাকতে হবে, মনের জোর রাখতে হবে, মানুষের পাশে থাকতে হবে। আর দশজনের সাথে বেঙ্গল টুডেও কবির জন্মদিনে, তাঁর সুস্থ জীবন কামনা করছে, আর তাই প্রার্থনা, তার কলমে আঁচরে যেন বের হয়ে আসে আরো কবিতা।