মনিশঙ্কর বিশ্বাস, হাওড়া, বেঙ্গলটুডে: এগারোই সেপ্টেম্বর, শুক্রবার রাতে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় খুন হতে হয়েছে হাওড়া সাঁকরাইল এর চুনাভাটি এলাকার বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী কে এমনটাই অভিযোগ তার পরিবারের। পুলিশ সূত্রে খবর বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী পেশায় অয়েল ট্যাংকার চালক,উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে একটি পেট্রোল পাম্পে চালকের কাজ করতেন তিনি । জানা যায় শুক্রবার রাতে বিশ্বজিৎ অয়েল ট্যাংকার নিয়ে পাঁচপাড়া পেট্রলপাম্প এর সামনে আসেন এবং সেখানেই তার বন্ধু রাজু শর্মা নামে আরো এক চালকের সঙ্গে দেখা হয় তার। সেই সময় অঙ্কিত শর্মা এবং রাজেশ চক্রবর্তী নামে আরও দুই ট্যাঙ্কারের খালাসী তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। এরপর গভীর রাতে চারজন মিলে আলমপুরের এক ধাবাতে খাওয়া-দাওয়া এবং মদ্যপান করে। এরপর রাস্তায় দাঁড়িয়ে কথা বলার সময় তাদের নিজেদের মধ্যে বচসা শুরু হয়।পরদিন অর্থাৎ বারোই সেপ্টেম্বর, শনিবার সকালে রাজু শর্মা বিশ্বজিতের স্ত্রীকে খবর দেয় যে বিশ্বজিতের দেহ ট্যাঙ্কারের চালকের আসনে পড়ে রয়েছে। স্ত্রীর অভিযোগ , তার স্বামী বিশ্বজিতকে তার বন্ধুরাই রড দিয়ে পিটিয়ে খুন করেছে ,স্বামীর দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং পা থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছে । এরপর নাজিরগঞ্জ তদন্ত কেন্দ্রে খবর দিলে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশ খুনের মামলা শুরুর পাশাপাশি মৃতের তিন বন্ধুকে গ্রেপ্তার করেছে। আগামীকাল তাদের হাওড়া আদালতে তোলা হবে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান তিন বন্ধু যখন রাস্তায় দাঁড়িয়ে গল্প করছিল সেই সময় খালাসী রাজেশ চক্রবর্তী তার ট্যাংকারটিকে রাস্তার ধারে পার্কিং করার সময় ব্রেক ফেল করে। ট্যাংকারটি গড়িয়ে গেলে বিশ্বজিৎ দুটি ট্যাংকার এর মধ্যে ধাক্কা খেয়ে আটকে পড়ে এবং এতেই তার মৃত্যু হয়, এরপর বন্ধুরা তার দেহ বার করে চালকের আসনে বসিয়ে দেয়। মৃতের স্ত্রী এবং এলাকার বাসিন্দারা অবশ্য দোষীদের শাস্তির দাবি করেছে।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!