অরিন্দম রায় চৌধুরী, ব্যারাকপুরঃ
ব্যারাক্পুর পুলিশ কমিশনারেটের ট্রাফিক গত ৭ই মার্চ থেকে চালাচ্ছে স্পেশাল ট্র্যাফিক চেকিং। গতকাল অর্থাৎ ৭তারিখ কমিশনারেটের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় চারশ মোটর বাইক ধরে কেস দেওয়া হয় । বিশেষতঃ কানে মোবাইল, হেলমেট না পড়া, স্পীড লেজারগানের মাধ্যমে ওভার স্পীড, ট্রিপল রাইডিং, সিগনাল ভায়োলেটিং এবং ব্রেথ অ্যানালাইজার দ্বারা মদ্যপ অবস্থায় চালানো।
পরের দিনই অর্থাৎ ৮ই মার্চ আবারও একবার দেখা গেল বাইক চালাবার সময় মাথায় হেলমেট পড়া যে কতটা জরুরী। আরও একবার প্রমাণ করলো এই দিন রাত্রে হওয়া একটি বাইক দুর্ঘটনা। মহঃ সাজিদ বয়েস ২২ বছরের,ব্যারাকপুর কোর্টের, সান্তশ্রী পল্লির বাসিন্দা ব্যারাকপুর চিড়িয়ামোড় থেকে নিজের বাইক চালিয়ে বাড়ী ফেরার পথে নর্থ গেটের কাছে হটাৎই দেখতে পান এক জন রাস্তা পার হচ্ছেন, তখন ওনার বাইকের গতি প্রায় ৪০ থেকে ৫০ কিমি হবে। রাস্তা পার হওয়া ভদ্রলোককে বাঁচাতে সজোরে বাইকের ব্রেক কষেন তিনি। ব্রেকের ঠেলায় বাইকটিকে আর সামলাতে পারেন নি। সজোরে ধাক্কা মারেন রাস্তার পার হওয়া ব্যারাকপুর সুভাষ কলোনির বাসিন্দা রবি দাসকে ও তিনি নিজেও ছিটকে পড়েন রাস্তার উপরে।
দুজনকেই ব্যারাকপুর পুলিশের কর্তব্যরত ট্র্যাফিক পুলিশের সহায়াতায় সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয়ে ব্যারাকপুর বি.এন.বস মহকুমা হাঁসপাতালে। সেখানে মহঃ সাজিদের ঘারের চোটের জন্য প্রাথমিক চিকিৎসার পরই তাকে ছেড়ে দেওয়া হলেও ব্যারাকপুর সুভাস পল্লির বাসিন্দা ৭০ বছর বয়েসি রবি দাসকে ভর্তি রাখা হয়ে। হাসপাতালে মহঃ সাজিদ অবশ্য নিজের হেলমেট দেখিয়ে বলেন “এই হেলমেটের জন্যই আজ বেঁচে গেলাম। না হলে যে কি হত তা ভাবলেই ভয় হচ্ছে।” কি হয়েছিল জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, “আমি চিড়িয়ামোরের দিক থেকে আমার বাইক চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলাম, নর্থ গেটের কাছে কাকু(রবি দাস) কিছু না বলেই হটাৎ রাস্তা পার হতে যান, সঙ্গে সঙ্গেই আমিও বাইকের ব্রেক কষি কিন্তু আর সামলাতে না পেরে সোজা কাকুকে গিয়ে ধাক্কা মারি। দুজনেই রাস্তায় পড়ে যাই। আজ শুধু আমার মাথায় হেলমেট থাকায় এ যাত্রায় বেঁচে গেলাম” আজকের এই ঘটনা দেখে হাসপাতালে উপস্থিত অনেকেই এখন বলছেন “না, বাইক চালাবার সময় এবার হেলমেট পড়তেই হবে”। তবে এখন দেখার এই ঘটনা থেকে আগামী দিনে কতজন শিক্ষা নেন।