শান্তনু বিশ্বাস, গাইঘাটা:
৬ই মার্চ গাইঘাটার গাজনায় মৃতদেহ ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের দাবী, মলয়ের মৃত্যুর জন্য তাঁর স্ত্রী পল্লিমা দায়ী। আর তাঁর শাস্তির দাবি করেই তারা মৃত দেহ আটকে রেখে দেয়। এরপর রাত ১০ টা নাগাদ গাইঘাটা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। অবশেষে অভিযুক্ত পল্লিমাকে গ্রেফতার করলে ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা বিক্ষোভ তুলে দেন।
সুত্রের খবর, ১৭ বছর আগে গাইঘাটার গাজনার বাসিন্দা মলয় বসু প্রেম করে বিয়ে করেন পাশের পাড়ার বিষ্ণুপুরের পল্লিমাকে। তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে বর্তমান। অভিযোগ, মলয় পেশায় গাড়ি চালক। মাঝে মাঝেই বাড়ির বাইরে থাকেন। দীর্ঘদিন ধরেই সুজয় দাস নামে এক যুবক মলয় দের বাড়িতে থাকত। বর্তমানে সে চাকরি পাওয়ায় তাদের বাড়িতে থাকে না। এলাকাবাসীর অভিযোগ মলয় বাড়ি না থাকার সুযোগে সুজয় তাদের বাড়িতে আসত। সম্প্রতি পল্লিমা ও সুজয়ের মধ্যে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
এমনকি বিগত সপ্তাহে সোমবার অর্থাৎ ২৬ শে ফেব্রুয়ারি তাদের দুজনকে মলয় একসঙ্গে দেখে ফেলায় সুজয় ও পল্লিমা মলয়কে মারধর করে বলে জানা যায়। এরপর সেদিন রাতে মলয় মদ খেয়ে বাড়ি ফিরলে স্বামী ও স্ত্রী মধ্যে বচসা বাধলে পল্লিমা মলয়কে বিষ খাইয়ে দেয় বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ।
মূলত ৫ই মার্চ রাতে কলকাতার আর.জি.কর হাসপাতালে মলয়ের মৃত্যু হয়। এরপর ৬ই মার্চ সন্ধ্যেবেলা তাঁর দেহ বাড়িতে আনলে গ্রামবাসীরা মলয়ের মৃত্যুর জন্য স্ত্রী পল্লিমার শাস্তির দাবি করে মৃত দেহ ঘিরে বিক্ষোভ দেখান।
পুলিশি সুত্রে খবর, ৬ ই মার্চ রাত ১০ টা নাগাদ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন গাইঘাটা থানার পুলিশ। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা পল্লিমার শাস্তির দাবিতে পুলিশদের ঘিরেও বিক্ষোভ দেখাতে থাকলে অবশেষে অভিযুক্ত পল্লিমাকে গ্রেফতার করলে বিক্ষভকারীরা বিক্ষোভ তুলে দেন। আপাতত গোটা ঘটনার তদন্তে পুলিশ।