Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
ভাস্কর চক্রবর্তী, শিলিগুড়ি, বেঙ্গল টুডেঃ প্রয়াত প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। শনিবার দিল্লির এইমস হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। গত ৯ অগাস্ট, শনিবার সকালে শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা নিয়ে এইমসে ভর্তি হয়েছিলেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। কার্ডিওলজি বিভাগে চিকিৎসা শুরু হয়েছিল তাঁর। পরের দিন ১০ অগাস্ট এইমস শেষ বারের মতো মেডিকেল বুলেটিন প্রকাশ করে জানিয়েছিল, শারীরবৃত্তীয় ভাবে উনি স্থিতিশীল রয়েছেন। তারপর আর এইমসের তরফে সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে বিজেপি নেতারা ঘরোয়া আলোচনায় জানাচ্ছিলেন, সে দিন থেকেই লাইফ সাপোর্টে তথা ভেন্টিলেশনে রয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। সেদিন ছিল এক শনিবার আর আজ আরেক শনিবার। টানা পনেরো দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে এদিন দুপুর ১২টা ৭মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন বিজেপি তথা সর্বভারতীয় রাজনীতির এই বর্ষীয়ান নেতা।
ইতিমধ্যেই এইমস থেকে দিল্লির বাসভবনে অরুণ জেটলির নিথর দেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে ভিড় জমিয়েছেন বিজেপি নেতা ও সমর্থকেরা। রয়েছেন অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা, হর্ষবর্ধন-সহ দলের একাধিক শীর্ষ নেতা ও মন্ত্রীরা। পরে বিজেপির সদর দফতরেও জেটলির মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় বলে সূত্রের খবর। রবিবার দুপুরে দিল্লির নিগমবোধ ঘাটে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
চলতি বছর লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদী দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় ফিরলেও, মন্ত্রীত্ব নিতে রাজি হননি জেটলি। প্রধানমন্ত্রীকে ব্যাক্তিগত চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন, বেশ কিছু দিন ধরে অসুস্থ তিনি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। তাই এবার নিজের জন্য একটু সময় চান। নতুন সরকার তাঁকে কোনও দায়িত্ব না দিলেই সমিচীন হবে। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় বরাবরই সক্রিয় ছিলেন অরুণ জেটলি। মোদী সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের পক্ষে নিয়মিত সওয়ালও করেন এই অনুভবী নেতা।
দীর্ঘ দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন অরুণ জেটলি। ডায়াবিটিসের সমস্যায় ভুগছিলেন। অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন গতবছর কিডনি প্রতিস্থাপনও হয় তাঁর। দীর্ঘ দিনের লড়াই করেও আজ যেন শেষ রক্ষা আর হল না। সর্বভারতীয় রাজনীতির এই বিচক্ষণ নেতার দেহত্যাগে শোকের ছায়া নেমে এসেছে রাজনীতির সকল স্তরে।