ওয়েবডেস্ক, বেঙ্গলটুডেঃ
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
যদিও ডাউনলোড করার জন্য সব ফাইল মোটামুটি নিরাপদ। কিন্তু নিরাপদ হলেও নিরাপদ মোটেই নয়।
স্বাভাবিক ভাবেই আপনি নিশ্চয়ই চাইবেন না ক্ষতিকর ফাইল আপনার কম্পিউটারে ঢুকে সর্বনাশটি করবে। অ্যান্টিভাইরাসের ওপর ভরসা করা ভাল, কিন্তু মাঝে মাঝে অ্যান্টিভাইরাসও কনফিউসড হয়ে পড়ে। তাই ফাইল ডাউনলোড করার আগেই দেখে নেওয়া ভাল।
ভয় লাগছে? লাগারই তো কথা। কিন্তু লাগাবেন না। কারণ ফাইল ডাউনলোড করার আগে তা দেখে ক্ষতিকর কি না, দেখে নেওয়া ভাল।
ফাইল ডাউনলোড করার আগে ভাইরাস টোটাল ট্রাই করুন
ফাইল ডাউনলোড করার পর তা ক্ষতিকর কি না, তা অনলাইনের সার্ভিসের মাধ্যমে দেখে নেয় ভাইরাস টোটাল। ফাইলে ডাউনলোড লিঙ্ক কপি করতে হবে।
ধাপ ১- যে ফাইল ডাউনলোড করতে চাইছেন, কপি করুন তার ডিরেক্ট লিঙ্ক। ডাউনলোডিং লিঙ্কে রাইট ক্লিক করে ডিরেক্ট লিঙ্ক পাবেন। কপি লিঙ্ক অ্যাড্রেস সিলেক্ট করুন।
ধাপ ২- লিঙ্ক কপি হয়ে গেলে, ওয়েব ব্রাউজারে নতুন ট্যাব খুলুন। VirusTotal.com সার্চ বারে লিখুন। ক্ষতিকর ফাইল সার্চ করার জন্য এটা গুগলের অনলাইন ব্যবস্থা।
ধাপ ৩- ভাইরাস টোটালের হোম পেজ খুলে যাবে। “URL” ট্যাবে ক্লিক করুন, ক্লিক করে বক্সের ফাইলে পেস্ট করুন। সার্চ বাটনে ক্লিক করুন, এন্টার করে স্ক্যান।
যে সার্ভার স্পেসিফাই করে দিয়েছেন, ভাইরাস টোটাল তার থেকেই ফাইল ডাউনলোড করবে। নানান অ্যান্টিভাইরাস ইঞ্জিন দিয়ে ভাইরাস টোটাল সেটি স্ক্যান করবে। কেউ যদি এর আগে ফাইলটি পরীক্ষা করে থাকেন, স্ক্যানে সেটিও ধরা পড়বে।
ফাইল ক্ষতিকর কি না জানা যাবে কী করে
স্ক্যান করার পর “No engines detected this URL” লেখাটি যদি আসে, তাহলে ফাইল সেফ, ডাউনলোড করতে পারেন। আর যদি ফাইল সমস্যার হয় তাহলে মেসেজ এসে যাবে স্ক্রিনে।
শেষের কথা
যদিও ভাইরাস টোটাল ফাইল ঠিকঠাক না বেঠিক তা মোটামুটি দেখিয়ে দেয়, তবে তা একশো শতাংশ ঠিক তা নয়। সে কারণে পরে আরেকবার অ্যান্টিভাইরাস দিয়ে স্ক্যান করিয়ে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। ভাইরাস টোটালের ওয়েব এক্সটেনশন করিয়ে রাখলে কাজে একটু সুবিধা হতে পারে।