Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
ভাস্কর চক্রবর্তী, শিলিগুড়ি, বেঙ্গল টুডেঃ আজ পবিত্র রথযাত্রা। বাঙালীর বারো মাসে তেরো পার্বণের মধ্যে অন্যতম এই উৎসব। গোটা দেশের মতো, শিলিগুড়িতেও ইস্কনের পক্ষ থেকে সারা শহর জুড়ে সাড়ম্বরে পালিত হল ৩০ তম উত্তরবঙ্গ রথযাত্রা উৎসব। এইদিন দেশ সেবায় যাঁরা নিজেদের আত্মবলিদান দিয়েছেন তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা, সম্মান ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে এই উৎসবের শুভসূচনা হয়।

প্রথমবার শিলিগুড়ির এই রথযাত্রা উৎসবের মূল আকর্ষণ ছিল পুরীর আদতে তিনটি পৃথক রথ। অর্থাৎ প্রভু জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা দেবীর রথ এবং এই তিনটি রথই ছিল বিদ্যুৎ অবিচ্ছিন্নকারী আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন, যা শিলিগুড়িতে এই প্রথম।

এই শুভ যাত্রার সূচনা করেন শ্রী অনিল কুমার (ডি.আই.জি; সি.আর.পি.এফ), শ্রীমতী শিল্পী মিশ্র, শ্রী গৌরব লাল (আই.পি.এস, ডি.সি.পি) প্রমুখ। এছাড়াও এই রথযাত্রা উৎসবে যোগদান করেছিলেন শ্রী রতন বিহানী, বিনোদ চৌধুরী, আর.কে সাহা, ডাঃ জি.বি. দাস, অনিল বানসাল, রাম অবতার বেরলিয়া, ডাঃ অভয় গৌর হরি, এম.সি. আগারওয়াল।

রথযাত্রা শুরু হয় দুপুর ২টোর সময় ইস্কন মন্দির থেকে। মন্দির থেকে বেরিয়ে সেভক রোড, সেভক মোড়, হাসমিচক, হসপিটাল মোড়, হরেন মুখার্জী রোড, আশ্রম পাড়া, নজরুল সরণী ও হায়দার পাড়া হয়ে আবার ইস্কনে ফিরবে। বহু মানুষ এই যাত্রায় যোগদান করেন। লক্ষ লক্ষ প্যাকেট প্রভু জগন্নাথ দেবের শুকনো প্রসাদ বিতরণ করা হয়। বহু মানুষ আবার ইস্কন মন্দিরের ভেতরে প্রসাদ গ্রহণ করেন। অন্যদিকে প্রচুর যানজটের কথা মাথায় রেখে এই বছরও জগন্নাথ দেবকে মাসির বাড়ি তথা গুন্ডিচা মন্দিরে রাখা হবে,যা উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট নং- ২, শিবমন্দির এলাকায়।

পুরো উৎসবের আয়োজন করেছেন শ্রী অখিল আত্মপ্রিয় দাস, সভাপতি, ইস্কন মন্দির, শিলিগুড়ি; নামকৃষ্ণ দাস, জনসংযোগ আধিকারিক, ইস্কন মন্দির, শিলিগুড়ি এবং এই সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানের মঞ্চ সঞ্চালনার দায়িত্ব পূর্ণাঙ্গরূপে পালন করে সূর্যশেখর গাঙ্গুলী।