19 C
Kolkata
Thursday, December 7, 2023
spot_img

লাগাতার ২ দিন ধরে চলছে ডাক্তারদের বিক্ষোভ, ফলে নাজেহাল আগত রুগী

 

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা, বেঙ্গল টুডেঃ মঙ্গলবার এন আর এস হাসপাতালে ডাক্তারকে মারধোরের প্রতিবাদে হাসপাতালের জুনিয়ার ডাক্তারেরা কর্মবিরতীর পাশাপাশি অবস্থান বিক্ষোভ করে। বুধবারও সেই অবস্থান বিক্ষোভ একই পর্যায় চালু থাকে, ফলে হাসপাতাল চত্বরে দুদিন ডাক্তারদের এই  কর্মবিরতীর জেরে ব্যাহত চিকিৎসা পরিষেবা। বিপাকে হাসপাতালের রোগী ও তার পরিজনেরা। অন্যদিকে একই কারনে এদিন রাজ্যের সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের আউটডোর বন্ধ রাখার ডাক দিয়েছিল চিকিৎসকদের যৌথ মঞ্চ, তারই প্রভাব পরতে দেখা যায় হাওড়া হাসপাতালে। এর পাশাপাশি বারুইপুর হাসপাতাল ও বারুইপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালেও একই চিত্র দেখতে পাওয়া যায়। সেখানেও ব্যাহত থাকে চিকিৎসা পরিষেবা৷ বন্ধ আউটডোর৷

অপরদিকে এদিন বারাসাত জেলা হাসপাতালেও চিকিৎসা পরিষেবা বেশ খানিকটা বিপর্যস্ত বলেও জানা যায়। ইমারজেন্সি পরিষেবা ও বহির্বিভাগের জেনারেল,অস্থি, ও শিশু বিভাগের চিকিৎসক উপস্থিত থাকলেও অন্যান্য বিভাগে কোন চিকিৎসক না আসার কারণে পরিষেবা বিঘ্নিত হয়।

[espro-slider id=17915]

এমনকি মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজেরও বর্হিবিভাগ বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে জানা যায়। ফলে হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা রোগীরা হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়ে। অপরদিকে এদিন বহরমপুর সাংসদ অধীর চৌধুরী রাজ্যের চিকিৎসা পরিষেবা ফিরিয়ে আনা বা স্বাভাবিক করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছেন বলে জানিয়েছেন। পাশপাশি হাসপাতাল চত্ত্বরে গিয়ে রোগী এবং রোগীর আত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। 

এছাড়া বাঁকুড়ার ইন্দাসের ইন্দাস ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও একই চিত্র ধরা পরে। সমস্যায় পড়তে দেখা যায় সাধারণ মানুষদেরকে। গোটা রাজ্যের সাথে এদিন মালদা মেডিকেলে জুনিয়ার চিকিৎসকদেরও ধর্ণা আন্দোলন অব্যাহত থাকে। একই রকম ভাবে এদিন বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগ সহ সমস্ত পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ থাকে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কার্যত বাধ্য হয়েই মাইকিং করে ঘোষণা করেন বর্ধমান হাসপাতালে কোন চিকিৎসা পরিষেবা চালু থাকছে না। কোন চিকিৎসক আউটডোরে বসেন নি। তারা সকলেই ধর্মঘটে সামিল হয়েছেন। সকাল থেকেই গোটা হাসপাতাল চত্বরে জুনিয়র চিকিৎসকরা স্টেথোস্কোপ ছেড়ে রড,লাঠি,বাঁশ নিয়ে গোটা হাসপাতাল চত্বরে দাপিয়ে বেড়ায়। রুগী দেখা তো দূরের কথা সংকটজনক রুগী নিয়ে এ্যাম্বুলেন্স হাসপাতালে গেলে গেটে কর্মবিরতিতে থাকা জুনিয়র ডাক্তাররা আটকে দেয়। এমনকি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রিয়ব্রত রায় হাসপাতালে গেলে তাকেও হেনস্তা করা হয়। তাঁকেও হাসপাতালে ঢুকতে বাধা দেয় জুনিয়র ডাক্তাররা।

Related Articles

Stay Connected

17,141FansLike
3,912FollowersFollow
21,000SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

Latest Articles