মিজান রহমান, ঢাকাঃ সরকারি চিকিৎসকদের জন্য প্র্যাকটিসের বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়ন করতে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি স্বাধীন মেডিক্যাল কমিশন গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ১২ই জানুয়ারি মঙ্গলবার চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধ করা রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও মো. কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে সরকারি চিকিৎসকদের বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে প্রাইভেট প্র্যাকটিসের অনুমতি দিয়ে করা আইনটি কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) সভাপতি এবং বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশেনের (বিএমএ) সভাপতিকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আবদুল সাত্তার পালোয়ান।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ (বাশার)। পরে আইনজীবী আবদুস সাত্তার জানান, গত ৪ঠা ফেব্রুয়ারি সরকারি চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছিল। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আজ আদালত এ আদেশ দিয়েছেন।
তিনি জানান, সারাদেশে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যে চিকিৎসা ব্যবস্থা আছে সেটি আজ কলাপ্স হয়ে গেছে। আমরা আদালতে বলেছি, সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থা এভাবে চলতে পারে না। মানুষের জীবন নিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য হচ্ছে। এর মূল কারণ হলো সরকারি চিকিৎসকেরা প্রাইভেট প্র্যাকটিস করেন। প্রাইভেট প্র্যাকটিস যদি বন্ধ করা যায়, তাহলে সরকারি চিকিৎসায় একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। আদালত আমাদের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছেন এবং নির্দেশনা দিয়েছেন।
এর আগে গত ৪ঠা ফেব্রুয়ারি অফিস চলাকালীন সময়ে সরকারি চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধে সরকারের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়।