মিজান রহমান, ঢাকাঃ আগামী মার্চে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পর্যটকবাহী নৌযান চালু হবে। এতে উভয় দেশের পর্যটকরা নৌপথে ভ্রমণ করবেন। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ২৭শে জানুয়ারি রবিবার সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ড. আদর্শ সোয়াইকার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
এ প্রসঙ্গে ভারতের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের বলেন, “আগামী কিছুদিনের মধ্যে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পর্যটকবাহী নৌযান চালু হবে। প্রথমে ভারতের পর্যটক দল নৌপথে বাংলাদেশের সুন্দরবন ভ্রমণ করবে। ভারত বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে রাজধানী ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে ১৫টি ভিসা ইস্যু সেন্টার চালু করেছে। চলমান বর্ডার হাটের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।”
টিপু মুনশি বলেন, “বাংলাদেশে ভারতের বিনিয়োগ বাড়ছে। আগামী দিনগুলোতে একসঙ্গে কাজ করতে আমরা একমত। এতে উভয় দেশের বাণিজ্য ও সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোনে তিনটিতে ভারত বড় ধরনের বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মংলায় ১১০ একর জমির উপর স্পেশাল ইকোনমিক জোনের কাজ অল্প দিনের মধ্যেই শুরু করবে। মিরেরসরাইয়ে এক হাজার একর জমির উপর এবং ভেড়ামারায় অপর একটি ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে ভারত।”
তিনি বলেন, দিনাজপুরের চিলাহাটি সীমান্তে একটি স্থলবন্দর নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ প্রস্তাব দিয়েছে। চলমান বর্ডারহাটের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য উভয় দেশ একমত হয়েছে। চলমান বর্ডার হাটের পাশাপাশি আরো ৬টি বর্ডারহাট চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ব্যবধান দূর করা এবং বাংলাদেশি পণ্য ভারতে রপ্তানির ক্ষেত্রে সমস্যাগুলো দূর করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। উভয় দেশের বর্তমান বাণিজ্য ৯৪৯২.৬৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত বছর ভারতের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ভারতে বাংলাদেশের পণ্যের রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৬৭২.৪১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়ে ৮৭৩.২৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ সময় বাণিজ্যসচিব মো. মফিজুল ইসলাম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) মো. শফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।