শান্তনু বিশ্বাস, অশোকনগরঃ গত নয় বছর ধরে তৃণমূল পরিচালিত অশোকনগর কল্যানগড় পৌরবোর্ডও তার কাজের ধারা অব্যাহত রাখতে নতুনের পাশাপাশি পুরাতনকে নতুন রূপ দিতে দেখা গেল। তৃনমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ করে চলছে বর্তমান সরকার। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে বিগত বাম জামানায় যে সকল কাজ বিজ্ঞান ভিত্তিক ভাবে করা হয়নি সেই কাজগুলোতেও প্রযুক্তির ছোঁয়া দিতে হাত লাগিয়েছে তৃণমূল চালিত পুরবোর্ড গুলি।
১৯৮৫ সালে বাম জামানায় অপরিকল্পিতভাবে তৈরি অশোকনগর শহীদ সদন প্রেক্ষাগৃহ। এই প্রেক্ষাগৃহ বিজ্ঞান ভিত্তিক ভাবে তৈরি না হওয়ায় পরে দেখা যায় নানা সমস্যা, বৃষ্টির সময় প্রেক্ষাগৃহের মধ্যে জমতে শুরু করে জল, সাউন্ড সিস্টেমও ভালো না, গরমের দিনে অনুষ্ঠান করাটা একটা বড় সমস্যা ছিল, বিশেষ অতিথিদের বসার তেমন কোন ব্যবস্থা ছিল না। তাই বারাসাত লোকসভার সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের সাংসদ তহবিলের টাকা দিয়ে এবং তৃণমূল পরিচালিত অশোকনগর কল্যানগড় পুরসভার যৌথ উদ্যোগে এক কোটি কুড়ি লক্ষ টাকা খরচে একদম বিজ্ঞান ভিত্তিক ভাবে কাজ শুরু হয় এই প্রেক্ষাগৃহর।
জলের সমস্যার কথা মাথায় রেখে উঁচু করা হয়েছে বসার জায়গা গুলো, গরমের কথা ভেবে বসানো হয়েছে সেন্ট্রাল এ সি, করা হয়েছে আধুনিক সাউন্ড সিস্টেম,বসার সিট করা হয়েছে বারশোটি টি, ভিআইপিদের জন্য সোফা, মঞ্চ এর সামনের দিকে হাতের কারুকার্যে ফুটে উঠেছে সৌন্দর্য, প্রেক্ষাগৃহের বাইরের দিকে করা হয়েছে গোলাপী রং, সুন্দর করে তৈরি করা হচ্ছে মূল গেট, করা হয়েছে টিকিট কাউন্টার, প্রেক্ষাগৃহের নামকরণ শহীদ সদন করা হলেও ছিলনা কোন শহীদের মূর্তি তাই প্রেক্ষাগৃহের মূল ফটকে বসানো হয়েছে মাতঙ্গিনী হাজরার প্রতিমূর্তি। এর পরে প্রেক্ষাগৃহে প্রবেশ করেই থাকছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবির পাশে ওয়ালে রবীন্দ্রনাথের বিভিন্ন কবিতা ও গানের লাইন সব মিলিয়ে আধুনিকতার ছোঁয়ায় নতুন ভাবে সেজে উঠেছে অশোকনগরের শহীদ সদন প্রেক্ষাগৃহটি ও এটি নবরূপে তৈরি হতে সময় লেগেছে প্রায় একবছর। এদিন শহীদ সদন প্রেক্ষাগৃহের উদ্বোধন করেন বারাসাত লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ ডঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার।
প্রেক্ষাগৃহের প্রবেশদ্বারে মাতঙ্গিনী হাজরার প্রতিমূর্তি উন্মোচন করেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বোস। এদিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অশোকনগর বিধানসভার বিধায়ক ধীমান রায়, অশোকনগর কল্যাণগড় পৌরসভার পুরপ্রধান প্ৰবোধ সরকার। এদিন উদ্ভাধীন অনুষ্ঠানে অশোকনগরের সংস্কৃতি প্রেমী মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। একদম হাতের কাছে নবরূপের প্রেক্ষাগৃহ পেয়ে খুশি নাট্যকার থেকে সঙ্গীত প্রেমী সব মহলের মানুষ।