শান্তনু বিশ্বাস, হাবড়াঃ
হাবড়া থানার অন্তর্গত কাশিপুর এলাকার আমপাড়ার কিশোরী পায়েল বালা স্থানীয় শ্রী চৈতন্য মহাবিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাএী ছিলো। তাঁর স্বপ্ন ছিল পড়া শোনা করে ভাল নাম করবে। আর তাই সে অনেক কষ্টেও পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিল। পাশাপাশি কাশিপুর এলাকারই সুব্রত বিশ্বাস নামে এক যুবকের সাথে পায়েলের বেশ কিছুদিন ধরেই সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আর সেই সম্পর্কের জ্বেরেই সুব্রত বিশ্বাসের সাথেই তিন মাস আগেই রেজিস্ট্রী করে বিবাহ নিথিভুক্তও করে ফেলে পায়েল বালা। কিন্তু ২৫শে ফেব্রুয়ারি রাতের বেলায় পায়েল হটাৎ বমি করতে করতে অসুস্থ হয়ে পড়লে পায়েলের হবু স্বামী সুব্রত বিশ্বাসকে খবর দেওয়া হয়। এরপর তাঁর শারীরিক অবস্থা অবনতি হওয়ায় রাত ১ টা নাগাদ পায়েলকে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় কিন্তু তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় বারাসাত হাসপাতালে স্থান্তরিত করা হলে, সেখানে যাওয়ার পথেই পায়েলের মৃত্যু হয়। মৃতার মায়ের নাম শর্মা বালা এবং বাবার নাম দেবাশিষ বালা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ ঘটনার দিন রাত ১১ টা নাগাদ পায়েলকে কোন ওষুধ খাওয়ানো হয়ে যার দরুন পায়েল বমি করতে শুরু করে এবং পড়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এলাকাবাসীদের সন্দেহ পায়েলের মা এবং তাঁর হবু স্বামী সুব্রত বিশ্বাসই পায়েলকে মেরে ফেলেছে। মূলত এর জেরেই ২৬ শে ফেব্রুয়ারি স্থানীয়রা এলাকাবাসীরা ক্ষোভে ফেটে পরেন এবং ২৭ শে ফেব্রুয়ারি সকাল থেকেই আমপাড়া মোড়ে গৌরবঙ্গ রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। তাদের দাবী, অভিযুক্ত সুব্রত বিশ্বাস এর শাস্তি চাই এবং তৎসহ পায়েলের মৃত্যুর সাথে যুক্ত সমস্ত দোষীদের শাস্তি চাই। প্রায় কয়েক ঘণ্টা অবরোধ পর পুলিশ এসে ঘটনাস্থলে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসিদের সাথে কথা বলেন এবং তদন্তের আশ্বাস দিলে অবরোধকারীরা অবরোধ তুলে নেয়।
এছাড়া এলাকাবাসীদের আরও অভিযোগ শ্রী চৈতন্য মহাবিদ্যালয় দ্বিতীয় বর্ষের ছাএী পায়েল বালার হবু স্বামী সুব্রত বিশ্বাস এর খপ্পরে পড়ে এর পূর্বেও আরও দুটি মেয়ে আত্নহত্যা করে মারা যায় এবং একজন পুরুষও মারা যায়। তাই ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী এই অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবী করে। পুলিশ সূত্রে খবর এদিন রাতেই পায়েল বালার মৃত্যুর ব্যাপারে হাবড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ জমা পড়ে, যার নম্বর ১৫৩, তাং ২৮/০২/২০১৮। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই হাবড়া থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেন। যদিও বা এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।