Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
মিজান রহমান, ঢাকাঃ নোয়াখালী জেলার কোম্পনীগঞ্জ, সদর ও সুবর্ণচর উপকূলীয় এলাকায়সহ চলতি মৌসুমে রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন হলেও কৃষক রয়েছে বেকায়দায়। মৌসুমে ধান কাটার মহাধুম, দায়-দেনায় জর্জরিত অধিকাংশ বর্গাচাষী। এবার জেলার ১ লাখ ৪৪ হাজার হেক্টর চাষাবাদ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ থাকলেও আবাদ হয়েছে তার চেয়ে বেশি। এক লাখ প্রায় ৫৩ হাজার ৬৭০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করা হয়েছে। উচ্চ ফলনশীল ১ লাখ ৪ হাজার ৫০০ আর দেশীয় জাতের ৪৯ হাজার ১৭০ হেক্টর।
সরকারের পক্ষ থেকে প্রণোদনা সার, বীজ, কীটনাশক ও সুদমুক্ত কৃষিঋণ পেলে আরো উৎসাহ পেতে নতুন কৃষকরা। বাম্পার ফলন হলেও শেষ পর্যন্ত লাভের মুখ দেখেনি কৃষকরা। তাই দিন দিন চাষাবাদে আগ্রহ হারাচ্ছে প্রান্তিক কৃষকরা। সরকার এবার ধানের বদলে চাউল গুদাম জাত করছে, এতে প্রান্তিক বা বর্গাচাষীরা ক্ষতি হচ্ছে বেশি, বাজার ধানের থেকে বদলা (কামলা, লেবার) দাম বেশি। এ অবস্থায় বর্গাচাষী কৃষকের দুশ্চিন্তা কাটছে না। এভাবে চলতে থাকলে আগামীতে এ অঞ্চলে খাদ্য সমস্যা দেখা দিবে। তাই এখন থেকে ভাবতে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে অনুরোধ করছে স্থানীয় খাদ্য বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে জোর দিচ্ছে কৃষি অধিদপ্তর।
কৃষকরা জানান, জেলার শতকরা ৯৫ ভাগ বর্গাচাষী, উপকূলীয় এলাকা কোম্পানীগঞ্জ, সদর, সুবর্ণচর এলাকায় রোপা আমনের পাশাপাশি বিভিন্ন শাক-সবজি চাষ হলো তাদের নিত্য পেশা। বিভিন্ন ব্যাংক ও এনজিও থেকে দায়-দেনা করে তারা কৃষিকাজ করে থাকেন। সরকারের পক্ষ থেকে প্রণোদনা সার, বীজ, কীটনাশক ও সুদমুক্ত কৃষিঋণ সাহায্যের দাবি তাদের।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নোয়াখালীর প্রশিক্ষক জালাল উদ্দিন জানান, প্রতি কেজি চালের দাম ৩৬ টাকার নির্ধারণ করছে সরকার। তাছাড়া চাষাবাদে খরচ কমাতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার বৃদ্ধিতে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে কাজ করছে। আর সার বীজ ফ্রি দেয়ার কোন সুযোগ নেই। সরকার সার-বীজ প্রণোদনা দিলে আমরা তা প্রান্তিক কৃষকে দিব।