হাওড়াবাসীর নানা রঙের দিনগুলি ভাগ-৪
রোটারিয়ান স্বপন কুমার মুখোপাধ্যায়
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
১৯৫১ থেকে ১৯৫৩ সালের মধ্যে আমাদের বালির বাড়ির মাঠে পরপর ৪টি অনুষ্ঠান হয়। (১) ‘মিশর কুমারী’ নাটকে আমার পিতৃদেব ও ন’ কাকু যথাক্রমে সম্রাটের ও সায়ার চরিত্রে অভিনয় করেন। (২) ‘চন্দ্রগুপ্ত’ নাটকে ছবি বিশ্বাস, জহর গাঙ্গুলি, সরযুবালা, রানীবালা, পূর্ণিমা, মিহির ভট্টাচার্য, রণজিৎ রায়, কমল মিত্র, (৩) ‘দুই পুরুষ’ নাটকে আমার ছোটকাকু, (৪) আর সঙ্গীত আসরে তারাপদ চক্রবর্তী, আলী আমেদ খাঁ, অপরেশ চ্যাটার্জি, অপরেশ ও বাঁশরী লাহিড়ী। এসব অনুষ্ঠানে আমি ছিলাম দর্শক ও শ্রোতা। এইসব অনুষ্ঠানের সংগৃহীত অর্থ আজাদ হিন্দ ফৌজের অসুস্থ সেনাদের জন্য ফৌজের CMO Col.N.C.Chatterjee-কে দান করা হয়।
১৯৫৪ সালে হাওড়া নরসিংহ দত্ত কলেজ থেকে আইএসসি পরীক্ষার পর কলকাতার বঙ্গবাসী কলেজে বিএসসি ক্লাসে ভর্তি হই। ওই সময়ে আমি সেন্ট জন অ্যাম্বুলেন্সের ট্রেনিং নেবার পর ক্যাডার হয়ে কলকাতার তিনটি ঘেরা মাঠে ‘এ’ ডিভিশন ক্লাবগুলির ফুটবল ম্যাচে ডিউটি দিতাম। ওই সালেই হুগলি জেলায় সিঙ্গুর গ্রাম বন্যা কবলিত হয়। বন্যা কবলিত মানুষদের জন্য আমাদের একজন অধ্যাপক শ্রী শঙ্কর মুখার্জির নেতৃত্বে আমরা ৫০ জন ছাত্র ওই গ্রামের ‘ভারতী বিদ্যামন্দির’ স্কুলভবনে একুশ দিন বাস করে ত্রান কারজে লিপ্ত ছিলাম। আমি একা এক হাজার জনকে T.A.B.C. Injection দিই ও রুইদাস পল্লীতে একটি “Adult Education Centre” চালু করি। ওই বয়সে আমার জীবনে সে এক বিচিত্র অভিজ্ঞতা। ১৯৫৫ সালে আমাদের বালির বাড়িতে আমার বড়দিদির যেদিন বিবাহ সম্পাদন করার কথা তার আগের দিন সন্ধ্যাবেলায় আমার পিতামহ ডা. নরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের হার্ট অ্যাটাক হয় এবং ওইদিনই রাত্র ৩টা ১৫ মিনিটে তিনি দেহত্যাগ করেন।
ক্রমশ…