অর্ণব মৈত্র, নিউটাউনঃ ১৫ই ডিসেম্বর নিউটাউনে আইনজীবী রজত কুমার দে-র খুনের ঘটনায় তার স্ত্রী অনিন্দিতা পাল দে কে নিয়ে তার বাড়িতে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করলো পুলিশ। কিভাবে সে খুন করেছিল তার জন্যই এই পুনর্নির্মাণ। মোবাইল চার্জার, চাদর ও হাউস কোর্ট সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে খবর এই ঘটনা অনিন্দিতা একাই ছিল, তৃতীয় ব্যক্তি কেউ ছিল না।
২৬শে নভেম্বর নিউটাউন ডি বি ব্লকের নবারুণ কোঅপারেটিভের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় আইনজীবী রজত কুমার দে -র মৃতদেহ। তার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হলেও পরে খুনের মামলা শুরু করে পুলিশ। এর জেরে ১লা ডিসেম্বর অনিন্দিতাকে থানায় তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এদিন জেরায় মোবাইল চার্জারের সাহায্যে আইনজীবী রজত কুমার দে কে খুনের কথা স্বীকার করে নেয় অনিন্দিতা পাল। খুনের কথা স্বীকার করে নেওয়ার সাথে সাথে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বাবা সমীর কুমার দে -র অভিযোগ, “তার ছেলেকে খুন করা হয়েছে যার পেছনে হাত রয়েছে তাঁর পূত্র বধু অনিন্দিতার।” এরপরই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করলে বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশি তদন্তে উঠে আসে একাধিক প্রশ্ন। ২রা ডিসেম্বর অনিন্দিতা পালকে বারাসাত আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন। আগামীকাল তার ৬ দিনের পুলিশ হেফাজত শেষ হবে বলে পুলিশি সুত্রে খবর। যদিও এখনো পর্যন্ত তৃতীয় ব্যক্তির কথা জানতে পারেনি পুলিশ।