শান্তনু বিশ্বাস, হাবড়াঃ ১২ই ডিসেম্বর হাবড়া থানার অন্তরগর্ত কৈপুকুর মিলন সংঘ ময়দানে অনুষ্ঠিত হল ‘জলতরঙ্গ কাপ’-র চূড়ান্ত পর্ব। গত দুমাস আগে বারাসত জেলা পুলিশের উদ্যোগে শুরু হয় এই ‘জলতরঙ্গ কাপ’। যার প্রধান উদ্যোগতা পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই প্রতিযোগিতায় উওর ২৪ পরগনার থানা ভিত্তি খেলা হয়। প্রত্যেক থানার প্রায় কয়েকশো ক্লাব এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। এবারের জলতরঙ্গ কাপের খেলা গুলি ছিল কাবাডি,ভলিবল, ফুটবল। এদিনের চূড়ান্ত পর্বের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার জেলা পুলিশ কর্মী ছাড়া আই জি, আই পি এস অফিসার সহ রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
হাবড়ার কৈপুকুর মিলন সংঘ ময়দানে আজকের চূড়ান্ত পর্বে ছিল মহিলা বিভাগের মহিলা ফুটবল এবং পুরুষ বিভাগের পুরুষ ফুটবলের চূড়ান্ত ফুটবল খেলা। এবারের ভলিবলের চ্যাম্পিয়ান হয় গোপালনগর থানার পাল্লা এলাকার আদি সংঘ। পুরুষ বিভাগের ভলিবলে রানাস হয় গাইঘাটা থানার চাঁদপাড়া সুভাষ সংঘ। পুরুষ বিভাগের কাবাডি খেলায় হাবড়া থানার মছলন্দুপুর মিলনি সংঘ চ্যাম্পিয়ান হয়। রানাস হয় বনগাঁর মেঘদূত সংঘ।
মহিলার কাবাডির চ্যাম্পিয়ান হয় হাবড়া কাবাডি অ্যাসোসিয়েশান এবং রানাস হয় বনগাঁ এলাকার প্রগতি সংঘ।
এর পাশাপাশি মহিলা ফুটবলে চ্যাম্পিয়ান হয় বনগাঁ থানার বিভূতিভূষণ স্মৃতি সংঘ এবং রানাস হয় বাগদা থানার হেলেঞ্চার রোরাল অ্যাসোসিয়েশান ক্লাব। এই খেলায় ৬-০ গোলে জয় লাভ করে। বিভূতিভূষণ স্মৃতি সংঘের পক্ষে একাই তিনটি গোল করে সুভাঙ্গি ঘোষ। আজ সুভাঙ্গি মেন অফ দা ম্যাচের পুরুষ্কার ছিনিয়ে নেয়।
অপরদিকে এদিন পুরুষদের ফুটবল খেলায় টান টান উত্তেজনায় খেলা শেষ হয়। সেখানে দেগঙ্গা থানার বোড়ামারী পল্লী উন্নয়ন সংঘ ক্লাবের সাথে মুখোমুখি খেলা হয় অশোকনগর থানার নেতজী সংঘ ক্লাবের। চূড়ান্ত খেলায় অশোকনগর নেতাজি সংঘ ২-১ গোলে বোড়ামারী পল্লী উন্নয়ন সংঘকে পরাজিত করে। এই খেলা সেরা খেলোয়াড় নির্বাচন হয় সেক সাচ্ছু।
প্রসঙ্গত এদিনের এই খেলায় জেলা পুলিশ কর্মী ছাড়া আই জি, আই পি এস অফিসার সহ রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক উপস্থিত ছিল। এদিন এই খেলায় উপস্থিত হয়ে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন,
“গতকাল পাঁচ রাজ্যে যেভাবে ফল করেছে বিজেপি তাতে বিজেপির সব নেতাদের লজ্জাদিবস পালন করা উচিৎ। মানুষকে অবমাননা করলে যে কি ফল হয় তা পাঁচ রাজ্যের মানুষ হাড়ে হাড়ে বুঝিয়ে দিয়েছে বিজেপিকে। যার ফলে এই রাজ্যের বিজেপির কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষদের মতো নেতারা এখনো মুখ লুকাচ্ছে।”