অর্ণব মৈত্র, আসানসোলঃ ছত্রিশগড়ের সুকমায় আইইডি বিস্ফোরনে শহীদ হলেন আসানসোলের বাসিন্দা সিআরপিএফ জওয়ান সঞ্জিত কুমার হরিজন।
ঘটনা সুত্রে খবর, ১১ই ডিসেম্বর দুপুরে ছত্তিশগড়ের সুকমা জঙ্গলে রুটিন তল্লাশি চালাচ্ছিলেন সঞ্জিত কুমার হরিজন। ঠিক সেই সময় আইইডি বিস্ফোরণে গভীর আঘাত পান তিনি। তার পায়ের তলা থেকে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। এরপর তড়িঘড়ি করে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় রাইপুরে। সেখানেই তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।এরপরই সঞ্জিতের পরিবারকে সেই খবর জানানো হয়।
সঞ্জিতের পরিবারিক সুত্রে জানা যায়, যে মঙ্গলবার দুপুরে আসানসোলের বাড়িতে দুপুরে প্রথম খবর আসে যে সঞ্জিতের পায়ে চোট লেগেছে। এরপর বাড়ির লোক ফোনে যোগাযোগ করলে সেই দিন সন্ধ্যা নাগাদ জানানো হয় যে সঞ্জিত আর নেই। আইইডি বিস্ফোরনে সঞ্জিতের গুরুতর চোট লাগে ও শহীদ হন সঞ্জিত। এরপরই তৎখনাত খবরটা সঞ্জিতের পাড়া আসানসোলের নিউ ঘুসি কলিয়ারি আবাসনে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পাওয়া মাত্রই গোটা এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া।
[espro-slider id=16095]
এছাড়া আরও জানা যায়, সঞ্জিত শেষবার ছট পূজায় বাড়ি এসেছিলেন। সঞ্জিত কুমারের পরিবারে বাবা, মা, স্ত্রী ছাড়াও তাঁর তিন সন্তান আছে। বাড়ির একমাত্র উপার্জনকারীর মৃত্যুতে শোকে বিহ্বল গোটা পরিবার। এই মৃত্যুর খবর পেয়েই বাড়িতে প্রতিবেশী,বন্ধুরা জমায়েত হতে শুরু করেন। প্রত্যেকেই গভীর শোকে নিথর হন।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, সঞ্জিত পাড়াতে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন। যুব সমাজকে কম্পিটিটিভ পরীক্ষা গুলোতে অংশ গ্রহণের জন্য বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করতেন তিনি। পাড়ার যুবকদের কাছে সঞ্জিত বেশ জনপ্রিয় ছিলেন বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা। আজ সঞ্জিত কুমারের মৃতদেহ কলকাতা বিমানবন্দরে আনা হয়। সেখানে সিআরপিএফের তরফ থেকে বিমানবন্দরে গার্ড অব অনার দেওয়া হয় সঞ্জিত কুমার হরিজনকে। তারপর এখান থেকে সঞ্জিতের মৃতদেহ আসানসোলে তার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।