Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
মিজান রহমান, ঢাকাঃ রাজধানী পুরান ঢাকার ওয়াইজঘাট এলাকার মুন সিনেমা হলের মালিককে ৯৯ কোটি ২১ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে পরিশোধের জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়কে আগামী বছরের ৩০শে জুন পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। সময় চেয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ৭ সদস্যের বেঞ্চ ১০ই ডিসেম্বর সোমবার এই আদেশ দেন। মুন সিনেমা হল মালিকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি।
একইসঙ্গে ৩০ জুনের মধ্যে টাকা পরিশোধ করা না হলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে আদালতে হাজির হওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এর আগে পুরান ঢাকার মুন সিনেমা হলের জমি ও তার ওপর গড়ে তোলা বর্তমান স্থাপনার মূল্য বাবদ ৯৯ কোটি ২১ লাখ টাকা মূল মালিককে পরিশোধের জন্য গত ৮ই অক্টোবর সরকারকে দুই মাস সময় দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। গত শনিবার সেই সময়সীমা শেষ হয়।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, পুরান ঢাকার ওয়াইজঘাটে এক সময়ের মুন সিনেমা হলের মূল মালিক ছিল ইটালিয়ান মার্বেল ওয়ার্কস লিমিটেড নামের একটি কোম্পানি। মুক্তিযুদ্ধের সময় ওই সম্পত্তি ‘পরিত্যক্ত’ ঘোষণা করা হয় এবং পরে শিল্প মন্ত্রণালয় ওই সম্পত্তি মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের অধীনে ন্যস্ত করে। ইটালিয়ান মার্বেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুল আলম ওই সম্পত্তির মালিকানা দাবি করলেও বিষয়টি আটকে যায়।
এরপর ১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমান একটি সামরিক ফরমান ঘোষণা করেন। এতে বলা হয়, সরকার কোনো সম্পত্তিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করলে আদালতে তা চ্যালেঞ্জ করা যাবে না। মুন সিনেমা হলের সম্পত্তিও এর আওতায় পড়ে যায়। কিন্তু ইটালিয়ান মার্বেল ওয়ার্কস এরপর ২০০০ সালে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করে, যেখানে সংবিধানের ওই পঞ্চম সংশোধনী চ্যালেঞ্জ করা হয়। ২০০৫ সালের ২৯ শে আগস্ট হাইকোর্ট এক ঐতিহাসিক রায় দেন। রায়ে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের পর খন্দকার মোশতাক আহমদ, বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম, মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানের ক্ষমতা গ্রহণ সংবিধান-বহির্ভূত ও বেআইনি ঘোষণা করা হয়।