রাজীব মুখার্জী, হাওড়া স্টেশনঃ আজ সকালে নিত্য দিনের মতো ডাউন উলুবেড়িয়া লোকালে উঠেছিলেন হাওড়া যাওয়ার জন্য। কারো স্কুলে যাওয়ার তাড়া আবার কারো অফিস যাওয়ার তাড়া, কেউ বা কতক্ষনে ফুল নিয়ে হাওড়া মল্লিক ঘাটে পৌঁছবেন। এর মধ্যেই ট্রেন লেট। একটু এগোয় আবার দাঁড়িয়ে পড়ে ট্রেন। নিত্যদিনের এই যন্ত্রনা নিয়ে বিরক্ত যাত্রীরা।
অনেকদিনের রাগ জমতে জমতে আজ তা বিক্ষোভে রূপ নিলো। ট্রেন যখন টিকিয়া পাড়াতে এসে আবার দাঁড়িয়েছে। সব যাত্রীরা নেমে ট্রেনের চালকের সাথে কথা বলতে নামেন। কেনো এভাবে ট্রেন চলছে তার জবাব দিহি চান। তবে চালকের উত্তর মনমতো না হওয়ায় বচসা আরো বাড়ে, ক্রমে তা পরিণত হয় অবরোধে।
স্কুলের শিক্ষিকা থেকে শুরু করে স্কুল ছাত্র ছাত্রীরাও বসে পড়েন ট্রেন লাইনের উপরে। এরপরে সিগন্যাল পাওয়া সত্ত্বেও ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকে টিকিয়া পাড়া স্টেশনেই। যাত্রীরা লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে রেলের থেকে লিখিত প্রতিশ্রুতি চান। যা দেওয়ার ক্ষমতা ট্রেন চালকের নেই। যাত্রীদের এই অবরোধে এই লাইনে পরের ট্রেন গুলিও পর পর আটকে পড়ে। শেষমেশ ট্রেন আর এগোয় না।
যদিও পরে যাত্রীদের বুঝিয়ে বলা হলে তারা অবরোধ তোলে। যাত্রীরা এই মুহূর্তে ওই ট্রেনেই যাচ্ছেন হাওড়ার স্টেশন মাস্টার কাছে লিখিত অভিযোগ জানাতে। আজ এই বিক্ষোভে নেতৃত্বে দেন হাওড়া যোগেশচন্দ্র গার্লস স্কুলের দিদিমনি শিল্পী দাস।