শান্তনু বিশ্বাস,অশোকনগরঃ অশোকনগর থানার অন্তরগর্ত বনবনিয়া চৌমাথা এলাকায় কালী পূজোর বকেয়া চাঁদা দেওয়াকে কেন্দ্র করে ইঞ্জিনিয়ার ছাএকে বেধরক মারধোরের অভিযোগ। এমনকি মারধোরের জেরে তার বাঁদিকের কানের পর্দা ফেটে যায় বলেও জানান তার পরিবার। আক্রান্ত যুবকের নাম নিশান বনিক। এই ঘটনার জেরে অশোকনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলে ইতিমধ্যে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, পশ্চিম কামারথুবা ‘প্রতিভা সংঘ’-এর গত কালী পূজোর চাঁদা আদায়ের বিল কেটে নিশান বণিকের বাড়িতে দেওয়া হয়, তার দিন কয়েক বাদে চাঁদা চাওয়ার নামে বাড়ি এসে মা নমিতা বনিককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এরপর ঘর থেকে বেরিয়ে এসে ছেলে প্রতিবাদ করতেই ঝামেলা বাড়তে থাকে। এমনকি বাড়ি এসে একাধিক বার মারধোরের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরবর্তীতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ায় পূজো ক্লাবের সভাপতি ঝামেলা মীমাংসা করবার দ্বায়িত্ব নেন।
অভিযোগ, ঝামেলার মীমাংসা করার পরেও নিশান বনিকের পরিবারকে একাধিক বার বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেওয়া হতো। এই ঘটনার জেরে সোমবার ৩রা ডিসেম্বর পাড়ার একটি চায়ের দোকানে বসে চায়ের আড্ডায় মেতে ছিলেন নিশান তখন প্রতিভা সংঘের কয়েকজন সদস্য হঠাৎ তার উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। প্রায় ২০-২২জন যুবক আচমকাই মারধোর শুরু করেন, এরপর প্রতিবেশীরা ছুটে এসে নিশানকে আক্রমনকারিদের হাত থেকে উদ্ধার করে অশোকনগর হাসপাতালে নিয়ে যান। মারধোরের কারনে নিশান বাঁদিকের কানের পর্দা ফেটে যায় বলে জানান তার পরিবার। যদিও ঘটনার পরই প্রতিভা সংঘের সদস্যদের বিরুদ্ধে অশোকনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নিশানের পরিবার। ইতিমধ্যে গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে অশোকনগর থানার পুলিশ।
আক্রান্ত নিশান বনিকের মা নমিতা বণিক বলেন, “পুজোর ঝামেলা অনেক দিন আগেই মিটে গেছে। সামনের সপ্তাহে ছেলের ইঞ্জিনিয়ারিং এর ফাইনাল পরীক্ষা আর তার আগেই পুরোনো ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার ছেলেকে বেধরক মারধোর করে আমার ছেলের কানের পর্দা ফাটিয়ে দিয়েছে তাদের উপযুক্ত শাস্তি চাই আইনের কাছে।”