শান্তনু বিশ্বাস, হাবড়াঃ ২রা ডিসেম্বর হাবড়া থানার অন্তরগর্ত জয়গাছি বেলতলা এলাকায় নিমাই বিশ্বাসের সাথে কথা বলতে আসেন তাঁর স্ত্রী শেফালি বিশ্বাস। এরপর তাদের দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে হঠাৎই নিমাই বিশ্বাস টর্চ লাইট দিয়ে মুখে মাথায় আঘাত করে করে শেফালিকে এবং মাটিতে ফেলে গলা টিপে খুন করার চেষ্টা করে বলেও অভিযোগ। মূলত এই অভিযোগের ভিত্তিতে এদিন হাবড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সুত্রে খবর, দশবছর আগে হাবড়া থানার অন্তরগর্ত জয়গাছি বেলতলা এলাকার নিমাই বিশ্বাসের সাথে বিয়ে হয় হাবড়া হাটথুবা ঘোষ পাড়ার শেফালি বিশ্বাসের। তাদের তিনটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। বছর তিনেক আগে শ্বশুর বাড়ির অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে বাধ্য হয়ে বধূ নির্যাতন মামলা দায়ের করে গৃহবধূ। এরপর দুই মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়িতে থাকে সে, এবং এক মেয়ে শ্বশুর বাড়িতে থাকে।
অভিযোগ, সম্প্রতি কয়েক দিন যাবৎ স্বামী নিমাই বিশ্বাস ফোন করে কেস তুলে নেবার কথা বলছিল এবং একটু আলোচনা করার জন্য গৃহবধূকে তার বাড়িতে ডাকছিল। এমনকি রবিবার দিন সকাল থেকে ফোন করে ডাকতে থাকে কেস নিয়ে আলোচনা করবে বলে। এর জেরেই তাদের কথা মত সেদিন সন্ধ্যা ৭ টা নাগাদ শ্বশুর বাড়িতে গেলে তার সাথে কথা কাটাকাটি লেগে যায় স্বামী নিমাই বিশ্বাসের।
এরপর আচমকা টর্চ লাইট দিয়ে তার মুখে মাথায় আঘাত করে স্বামী নিমাই বিশ্বাস এবং তাকে মাটিতে ফেলে গলা টিপে খুন করারও চেষ্টা করে। সেই সময় কোন মতে পালিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় হাবড়া থানার দ্বারস্থ হয় গৃহবধু। এরপর হাবড়া হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয় হাবড়া থানার পক্ষ থেকে। এর পাশাপাশি রবিবার রাতেই স্বামী নিমাই বিশ্বাসের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে গৃহবধু। এছাড়াও গৃহবধুর আরো অভিযোগ, তাকে অ্যাসিড দিয়ে মেরে ফেলার হুমকিও দিচ্ছে তার স্বামী। মূলত এই অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে হাবড়া থানার পুলিশ।