মিজান রহমান, ঢাকাঃ আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামী ১৫ই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ওবায়দুল কাদের ৩০শে নভেম্বর দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের তারিখের পর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করবেন।’
বাংলাদেশ সেতুমন্ত্রী আরো বলেন, শুধু নির্বাচনকে সামনে রেখে নয়, আগামী প্রজন্মকে সামনে রেখে দেশের উন্নয়ন করেছে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনী ইশতেহারেও তা প্রতিফলিত হবে। এ সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এস এম কামাল হোসেন ও আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, এত কিছুর পরও আমরা যাদের দলীয় মনোনয়ন দিয়েছি তাদের বেশির ভাগই রাজনীতিবিদ। রাজনীতিবিদরাই বেশি মনোনয়ন পেয়েছেন। ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের মনোনয়ন দিয়েছি। মনোনয়ন পাওয়াদের মধ্যে ৪০ জন রয়েছেন যারা সরাসরি মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
তিনি বলেন, মনোনয়নপ্রাপ্তদের মধ্যে ৪৫ জন নতুন মুখ রয়েছে। এ সংখ্যা আরো বেড়ে ৫০ জনে উন্নীত হতে পারে। কাদের বলেন, রাজনীতি এখন মূল্যবোধ বিবর্জিত হয়ে গেছে। বিএনপি যুদ্ধাপরাধীদের সন্তান ও জঙ্গি অর্থায়নের সঙ্গে জড়িতদেরও মনোনয়ন দিয়েছে। তিনি বলেন, জঙ্গি অর্থায়ন আর জঙ্গি তৎপরতার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। কারণ জঙ্গিদের সাহায্য করা মানে জঙ্গিবাদকে সমর্থন করা। কাদের বলেন, বিএনপি ও জামায়াত এক আদর্শে বিশ্বাস করে। তাদের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। তারা শুধু নামে ভিন্ন, কাজে অভিন্ন। তাই তারা জামায়াতকে শুধু ২৫ জন কেন, ৫০ জন প্রার্থীকেও দলীয় মনোনয়ন দিতে পারে। তারা এক মোহনায় একাকার।
সেতুমন্ত্রী বলেন, “আমরা এতদিন ক্ষমতায় আছি, আমরা নির্ভূল, অভ্রান্ত দাবি করি না। আমাদের ভুল-ত্রুটি আছে। তারপরও এটা বলতে পারি, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। বিএনপির চেয়ে আমাদের সরকার বেটার সরকার।” তিনি বলেন, ‘আমরা উন্নয়নের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। আগের যে কোন সময়ের চেয়ে অনেক বেশি উন্নয়ন উপহার দিয়েছি।’ কাদের বলেন, আমাদের যারা অন্যায় করেছে তাদের কিন্তু আমরা ছাড় দেইনি। আমাদের এমপিরাও জেলে রয়েছেন।