মিজান রহমান, ঢাকাঃ আগামী বছর (২০১৯ সাল) হজ পালনের জন্য আগামী ১৩ই ডিসেম্বর হজ চুক্তি হবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আনিছুর রহমান। ২৫শে নভেম্বর বাংলাদেশের রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে ধর্ম মন্ত্রণালয় আয়োজিত 'হজ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্মশালা-২০১৮' শীর্ষক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান তিনি।
সচিব আনিছুর রহমান বলেন, ২০১৯ সালের হজ পালনের জন্য আমাদের চুক্তি এবার এক মাস আগে হবে। আগামী ১৩ই ডিসেম্বর সৌদি আরবের রিয়াদ অথবা জেদ্দায় এ চুক্তি হবে। তিনি বলেন, আমাদের হজ নীতিমালা প্রায় চূড়ান্ত। আগামী জানুয়ারিতে এ নীতিমালা উপস্থাপন করা হবে। ২০১৯ সালের হজ প্যাকেজে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের বাড়তি টাকা গুণতে হবে। সৌদি আরবে পরিবহন, আবাসন সহ আনুষাঙ্গিক খরচ বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশি হজযাত্রীদের খরচ বাড়ছে। তবে এবার হজের খরচ কেমন বাড়তে পারে তা তিনি উল্লেখ করেননি।
সচিব জানান, সৌদি আরবে পরিবহন ব্যয় প্রায় তিন গুণ বেড়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য আনুষাঙ্গিক ব্যয় বেড়েছে তাই আমাদের বাড়তি টাকা গুণতে হবে। একইসঙ্গে এবার আবাসনে দ্বিতল খাট ব্যবহার হতে পারে। যেটা পাকিস্তান এবং ভারতের হাজিদের জন্য ছিল। এটা এবার বাংলাদেশিদের জন্যও মেনে নিতে হবে।
বাংলাদেশের ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান বলেন, হজের আগেই যদি কোনো ত্রুটি থাকে সেটার সমাধান আগেই করতে হবে। সব ত্রুটির সমাধান করতে হবে। হাজিদের যাত্রা নিরাপদ করতে হবে। সৌদিতে যাতে কোনো সমস্যা না হয় দিকেও দেখতে হবে।
বাংলাদেশ মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, দেশ থেকে অনেকে আগে হজে যেয়ে অপরাধে জড়ান। হজে যেয়ে অনেক সময় হাজিরা তাদের দ্বারা পকেট মানির শিকার হন। এতে নিঃস্ব হয়ে পড়েন সে হাজি। এক্ষেত্রে আপদকালীন ফান্ড করা যেতে পারে। আবার হজযাত্রার মাঝামাঝি সময়ে ফ্ল্যাট জটিলতা থাকে। এটা যেনো না হয়, সেটাও দেখতে হবে।
হজ ক্যাম্পের পরিচালক মো. সাইফুল ইসলামের উপস্থাপনায় আয়োজিত কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন জেদ্দা হজ অফিসের কনসালটেন্ট এফ এম বোরহানউদ্দিন, বিয়াম ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক শেখ মুজিবুর রহমান, সেনাবাহিনীর হজদলের সমন্বয়ক মেজর জায়েদুল আলম, হজ এজেন্সি অব বাংলাদেশের (হাব) মহাসচিব শাহাদাত হোসেন তসলিম। অনুষ্ঠানে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, হজ গাইড, হজ এজেন্সির কর্মকর্তা, সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।