ওয়েবডেস্ক, বেঙ্গল টুডে:
২৯ শে জানুয়ারি সকাল ৭ টা নাগাদ মুর্শিদাবাদের দৌলতাবাদে বালির ঘাট সেতু ভেঙে যাত্রীবাহী একটি বাস নদীর জলে পরে যায়। এর জেরে গতকালই ৩৬ জন যাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এবং কিছু যাত্রী কোনও রকমে প্রাণে বেঁচে যাওয়া তারা জানিয়েছিলেন, বাসে জনা ষাটেক লোক ছিলেন। এমনকি ঘটনার দিন রাত ৮টা নাগাদ ফাঁকা বাসটিকে উপরে তোলা হয়। বর্তমানে ৩০ শে জানুয়ারি সকাল থেকে ফের নিখোঁজ সেই যাত্রীদের সন্ধানে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যেরা কাজ শুরু করেন। ভাণ্ডারদহের জলে নামেন ডুবুরিরা। পাড়ে তখন হাজার হাজার মানুষের সঙ্গে অপেক্ষার প্রহর গুণছেন নিখোঁজদের পরিবারের সদস্যেরা।
মূলত এদিন সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ ডুবুরিরা জলে নামেন এবং তাদের জলে নামার কিছুক্ষনের মধ্যেই উদ্ধার হয় একটি দেহ। এরপর একে একে আরও পাঁচটি শান্ত, নিথর দেহ। তার মধ্যেই রয়েছেন বাস কন্ডাকটর মিন্টু শেখ। গত কাল যে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভাণ্ডারদহের জলে তলিয়ে গিয়েছিল, সেটি চালাচ্ছিলেন মিন্টুর দাদা সেন্টু শেখ। এমনকি সোমবার সন্ধ্যায় সেন্টুর দেহ উদ্ধার হয়। সকাল থেকে একের পর এক দেহ তুলে আনছেন ডুবুরিরা, আর পাড় ভেঙে পড়ছে স্বজনহারা কান্নায়! দৌলতপুরের বাস দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।
ডুবুরিরা জানিয়েছেন, এখনও কিছু দেহ জলের তলায় কাদায় আটকে থাকতে পারে। জলেও ভেসে যেতে পারে কিছু দেহ। হরিণঘাটা থেকে আসা ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের সদস্যেরা তাই গোটা বিল জুড়েই সন্ধান চালাচ্ছেন। বাকিদের সন্ধান যদি মেলে!
উল্লেখ্য ৩০ শে জানুয়ারি সকালে দুর্ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন বহরমপুরের সাংসদ তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তাঁকে দেখেই এলাকার মানুষ বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এবং বালির ঘাট সেতুতে সন্ধ্যার পর আলোর ব্যবস্থা করার দাবি জানানো হয়। অধীরবাবু সে সকল দাবি মেটানো হবে বলে জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি দুর্ঘটনার কবলে পড়া পরিবহণ দফতরের ওই বাসটির সামগ্রিক অবস্থা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, “মৃতদেহগুলির ময়নাতদন্তের সঙ্গে বাসটিরও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।” পরিবহণ দফতর গত বছরই বাসটি বহরমপুর পুরসভাকে দিয়েছিল। তারা সেটি লিজে চালাচ্ছিল।