শান্তনু বিশ্বাস, হাবড়াঃ ২৪শে নভেম্বর হাবরা ষ্টেশন এলাকায় বে-আইনি ভাবে দূরপাল্লার ট্রেনের টিকিট বিক্রি করার অভিযোগে ৩জন ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করল আরপিএফ। এদিন রাত ৮টা নাগাদ হাবরা ষ্টেশন এলাকায় আরপিএফ ও ক্রাইম আধিকারিকেরা গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হানা দেয়। উদ্ধার হয় লক্ষাধিক টাকার বে-আইনি টিকিট। হাবড়া রেলস্টেশন এলাকার সুপার মার্কেটে “উড়ান ও আস্থা” নামে দুটি ট্রাভেল এজেন্সির ঘর থেকে প্রায় ৪ লক্ষ টাকার টিকিট বাজেয়াপ্ত করে আরপিএফ। ধৃতদের নাম বিজয় কুমার দাস, সঞ্জীবন ঘোষ, ও কৃষ্ণপদ দাস। ধৃতদের বাড়ি হাবড়ার শ্রীনগর এলাকায়। এই দোকানেই দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে রেলের টিকিট বিক্রি হচ্ছিল বলে অভিযোগ।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, ২৪শে নভেম্বর রেল পুলিশ এবং ক্রাইম আধিকারিকেরা হানা দেয় দুই দোকানে। ঘটনার তদন্তে নেমে রেল পুলিশের আধিকারিকরা জানতে পারেন, বিভিন্ন নামে আইআরসিটিসির একাধিক ভুয়ো আইডি খুলে দূরপাল্লার ট্রেনের টিকিট হাতিয়ে দেওয়ার কারবার চলছিল। অভিযোগ, অনলাইন থেকে টিকিট হাতিয়ে পরে তা গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী মোটা টাকায় বিক্রি করা হত। বেশি দাম দিয়ে টিকিট কিনতে অস্বীকার করা হলে যাত্রীদের সাফ জানিয়ে দেওয়া হত, বাড়তি টাকা না দিলে মিলবে না টিকিট। কাউন্টার থেকে টিকিট কাটলে মিলবে ওয়েটিং টিকিট। অগত্যা, মোটা টাকার বিনিময়ে ‘কনফার্ম টিকিট’ কাটতে বাধ্য হতেন যাত্রীরা। বারবার অভিযোগের পরেই হানা দেয় পুলিশ, উদ্ধার হয় প্রায় ৪ লক্ষ টাকার রেল টিকিট।
রেল পুলিশ সুত্রে খবর, দীর্ঘ দিন ধরে এই দুই সংস্থা একাধিক মানুষের নামে একাধিক ফেক আইডি বানিয়ে অন লাইনে মোটা টাকায় টিকিট বিক্রি করছিল। সেই মতো তল্লাশিতে গিয়ে হাতেনাতে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে রেল পুলিশ। উড়ান ট্রাভেল এজেন্সির মালিক সঞ্জীবন ঘোষ ও কৃষ্ণেন্দু দাস এবং আস্থার মালিক বিজয় কুমার দাসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ট্রাভেল এজেন্সির অফিস গুলিতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে ১০০টি টিকিট। ধৃত তিনজনকে বনগাঁ আদালতে তোলা হয়।