20 C
Kolkata
Saturday, December 2, 2023
spot_img

কুয়েতে অবৈধ পন্থায় শ্রমিক নিয়োগ, জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু

 

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

মিজান রহমান, ঢাকাঃ চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অবৈধ পন্থায় অন্যান্য দেশ থেকে কুয়েতে শ্রমিক নিয়োগে জড়িত সন্দেহে সেদেশের মার্কিন বেজে কর্মরত চার ব্যক্তি এবং এক কুয়েতি নাগরিকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে পাবলিক প্রসিকিউশন। এইসব প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিরা মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ। সন্দেহভাজন চার ব্যক্তি ক্যাম্প আরিফজানের এক মার্কিন বেজে কাজ করেন। তারা ওই বেজে কাজ করার সুবাদে এবং দক্ষ কর্মী আনার গোটা প্রক্রিয়া সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকার সুযোগে অবৈধ উপায়ে কুয়েতে লোক আনতে পেরেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মানব পাচারের এমন জাল বিস্তারের পেছনে এক সিরিয়ানকে মাস্টারমাইন্ড বলে মনে করা হচ্ছে। তার নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। অবশ্য তিনি চোদ্দ শিকের ভেতরেই আছেন।

সূত্র জানায়, এই ব্যক্তিই তিনটি ভুয়া প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিশাল সংখ্যক শ্রমিক এনেছেন কুয়েতে। আর তাদের কোনো কাজ না দিয়ে ছেড়ে দিয়েছেন। বিশ্বস্ত সূত্রের বরাত দিয়ে পত্রিকাটির এক প্রতিবেদন জানায়, এই অবৈধ প্রক্রিয়ায় জড়িতরা দেড় হাজার এশিয়ান শ্রমিকের আবাসন ব্যবস্থার অজুহাত দেখিয়ে প্রত্যেকের কাছ থেকে ১০ হাজার মার্কিন ডলার করে হাতিয়ে নিয়েছেন। এছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার নিশ্চয়তা দিয়ে তাদের কাছ থেকে এক হাজার কুয়েতি দিনারও নেওয়া হয়। বিদেশি শ্রমিক আনার ক্ষেত্রে এমন অনিয়ম প্রসঙ্গে অবগত মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বেশ কয়েকবার দেখা করেছে কুয়েতের পাবলিক অথোরিটি ফর ম্যানপাওয়ার (পিএএম)। আলোচনার পর গত জুন থেকে হালনাগাদ চুক্তিপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

ইতিমধ্যে নিয়মমাফিক শ্রমিক নিয়োগের বিষয়ে প্রস্তাবিত নতুন এক বিধিমালা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে অনুমোদনের জন্যে। এ ঘটনায় মার্কিন কর্মকর্তারা নড়েচড়ে বসেছেন। তারা পরিস্থিতি বুঝতে এবং অভিযোগ তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের সিকিউরিটি টিম গঠন করেছে। তাদের তদন্তের সাপেক্ষেই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অনেককেই চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয় এবং অন্যদের দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ প্রক্রিয়ার সহায়তা করেছে কুয়েত কর্তৃপক্ষ। অবৈধ উপায়ে শ্রমিক আনায়নের একটি উদাহরণ হতে পারে ‘টেক্সাস কলেজ টেকনলজি বিল্ডিং’। এ প্রজেক্ট সম্পন্নের জন্যে ১২৫০ জন শ্রমিক প্রয়োজন দেখানো হয়। অথচ ভবনটি দুটো কক্ষের সমান বিস্তৃত নয়। এ কাজ ১৩ জন বা তারও কম সংখ্যক শ্রমিক দরকার।

সম্প্রতি কুয়েতের ইউএস অ্যাম্বেসি জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী মানবপাচার রোধে কাজ করতে আগ্রহী তারা। এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কুয়েত সরকারের খুব কাছাকাছি থাকবে তারা। অবৈধ উপায়ে শ্রমিক আনা রুখতে এবং ঘটে যাওয়া ঘটনার তদন্তে কাজ করে যাবে তারা। জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনতেও সচেষ্ট তারা। আর আগে কুয়েতে অবস্থানরত ২ হাজার ৯০০ পাকিস্তানি, বাংলাদেশি এবং মিশরীয়কে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ।

তবে এ সব কর্মকান্ডের সাথে বাংলাদেশীরা আছেন বলে অনেকে ধারণা করছেন। এ নির্দেশনাকে বিগত কয়েক বছরের মধ্যে কুয়েতের ইতিহাসের সবচেয়ে ‘সিরিয়াস কেস’ বলে মনে করা হচ্ছে। যাদের আটকাদেশ দেওয়া হয়েছে তারা সবাই অবৈধ উপায়ে কিংবা পাচার হয়ে কুয়েতে প্রবেশ করেছেন। এ খবর প্রকাশের পর তাদের গ্রেপ্তারে নামে কর্তৃপক্ষ। জড়িতদের বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু হয়।

Related Articles

Stay Connected

0FansLike
3,912FollowersFollow
21,000SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

Latest Articles