অর্ণব মৈত্র, ভাঙড়ঃ এবছর দর্শকদের মন ভোলাতে রাস উৎসবে বিশেষ আকর্ষণ, অমৃতসরে গত কয়েকদিন আগে ট্রেন দুর্ঘটনায় যে সাধারণ মানুষ মারা গিয়েছিল, সেই দৃশ্য এবার চলন্ত পুতুল ও লাইট-এর সাহায্যে তুলে ধরা হবে। ভাঙ্গড় ১ নম্বর ব্লকের তাড়দহ গ্রাম পঞ্চায়েতের তাড়দহ গ্রামের একটি প্রাচীন মন্দির প্রাঙ্গণে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এবারের তাদের রাস উৎসব ৬৭তম বর্ষে পদাপর্ণ করল।
এই প্রাচীন রাস উৎসবের মেলা দেখতে বিগত বছর গুলিতে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও কলকাতার বিভিন্ন এলাকার মানুষ ভিড় জমায়। এবারেও ১০ দিনের এই মেলায় প্রচুর লোকের সমাগম ঘটবে বলে আশাবাদী মেলা কমিটির কর্মকর্তাদের। কলকাতা বাসন্তী হাইওয়ে ভোজেরহাট বাসস্ট্যান্ডের পাশ থেকেই চলে গিয়েছে এই তাড়দহ গ্রামে যাওয়ার রাস্তা। তাড়দহ গ্রাম পঞ্চায়েতের পাশেই এই বহু প্রাচীন মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এই মেলা উপলক্ষে মেলা প্রাঙ্গণে আসার জন্য তারদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রাকেশ রায় চৌধুরীর উদ্যোগে একটি রাস্তা তৈরি হওয়ায় খুশি এলাকাবাসীরা।
[espro-slider id=14870]
বিগত বছরেও এই রাস্তা কখনো সংস্কার হয়নি। এই মেলা উপলক্ষে এই রাস্তা পিচের তৈরি হওয়ায় বর্ষা কালের থেকে কাঁদা জল থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে ও মেলা প্রাঙ্গণে খুব সহজেই যাওয়া যাবে বলে দাবি করেছেন এলাকাবাসীরা। আগামী ২৬ শে নভেম্বর এই রাস মেলার শুভ উদ্বোধন হবে। এই উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন সোনারপুরের দুই বিধায়ক ফেরদৌসী বেগম ও জীবন মুখোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন ক্যানিং পূর্ব বিধানসভার বিধায়ক সওকাত মোল্লা, ও ভাঙ্গড় ১ নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শাহজাহান মোল্লা এছাড়াও অনেকে।
উল্লেখ্য এই প্রাচীনতম রাসমেলা উপলক্ষ্যে এই মেলার প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে। দিনরাত এক করে সুদক্ষ শিল্পীদের নিয়ে মেলা কমিটির কর্মকর্তারা তাদের সুদক্ষ শিল্পীসত্তা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করছে সেই সঙ্গে নতুন রাস্তার উভয় পাশে খাবার থেকে আরম্ভ করে নানা রকমের দোকান সাজাতে ব্যস্ত ব্যবসায়ীরাও।