মিজান রহমান, ঢাকাঃ বিএনপির কারাবন্দি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ৬৩ বছরের জীবন নিয়ে ৭০০ পৃষ্ঠার বই প্রকাশ হয়েছে। খালেদার জীবনী নিয়ে বইটি লিখেছেন সিনিয়র সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ। বইয়ে তিনি তুলে এনেছেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক জীবন ও সংগ্রামের গল্প। গৃহবধূ থেকে প্রধানমন্ত্রী, স্বৈরাচারবিরোধী সংগ্রাম- এসব নানা বিষয়ে বইটিতে ওঠে এসেছে। ইংরেজি ভাষায় রচিত বইটির নাম “বেগম খালেদা জিয়া: হার লাইফ, হার স্টোরি”। যা খালেদা জিয়ার ১৯৬৫ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ইতিহাস রয়েছে। ১৮ই নভেম্বর রবিবার বাংলাদেশের রাজধানীর হোটেল লেকশোরে বইটির মোড়ক উম্মোচন করা হয়। যেখানে বিএনপির সহ দলের অনেক বুদ্ধিজীবী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তিনি আসেননি।
“খালেদা জিয়া, হার লাইফ, হার স্টোরি” বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বইটির লেখক সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ বলেন, “বইটি খালেদা জিয়ার জীবন ও জীবনের গল্প নিয়ে। এখানে তার রাজনৈতিক সংগ্রাম তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। একজন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে তার উত্থানের গল্প আছে বইটিতে। এই গ্রন্থে খালেদা জিয়ার বড় বহুমাত্রিক নেতৃত্বের বিষয়ে বলা হয়েছে। বইটি সাংবাদিকতার ডায়েরি সহায়তা করেছে। এখানে পত্রিকার কোড করা হয়েছে। বইটিতে বেগম জিয়ার ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকার তুলে ধরা হয়েছে”।
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ নজরুল বলেন, “বাংলাদেশের আত্মমর্যাদার সমার্থক হচ্ছেন খালেদা জিয়া। দেশ ও জনগণের প্রয়োজনে তিনি সব কিছু করেছেন। জনগণের স্বার্থেই তত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। জনগণের প্রয়োজনে পুনঃ নির্বাচন দিয়েছিলেন। আসলে খালেদা জিয়া ভালো থাকলে বাংলাদেশ ভাল থাকে, তিনি ভালো না থাকলে বাংলাদেশ ভাল থাকে না। বাংলাদেশের ভাগ্যের সঙ্গে খালেদা জিয়ার ভাগ্য জড়িয়ে পড়ছে”।
এছাড়াও তিনি আরও বলেন, “আমরা শেখ হাসিনার প্রশংসার করতে পারলে, খালেদা জিয়ার প্রসংশার করতে বাধা কোথায়? বাংলাদেশের মতো দেশে খালেদা জিয়াকে নিয়ে বই লেখা খুবই কঠিন। বইটি লেখার মাধ্যমে অসাধারণ একটি সূচনা করেছেন মাহফুজ উল্লাহ। বইয়ে খালেদা জিয়ার ১৫ই আগস্টের জন্মদিন নিয়ে কথা আছে। ১৯৯১ সালে খালেদা জিয়া প্রথম ক্ষমতায় আসার সময়ই ১৫ই আগস্ট জন্মদিন তার জন্মদিনের কথা উল্লেখ আছে।
লেখকের দাবি, এতোদিন কেনো এই বিষয় নিয়ে কথা হয়নি। যখন খালেদা জিয়ার কঠিন সময়, তখনই এই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক করা হচ্ছে। বক্তারা বইয়ের লেখক মাহফুজ উল্লাহর প্রশংসা করে বইটি সকলকে পড়ার অনুরোধ জানান। তাদের মতে, বইটি খুবই তথ্যবহুল ও বস্তুনিষ্ঠ। বইটির প্রকাশক শিহাব উদ্দিন।