মিজান রহমান, ঢাকাঃ বাড়তে শুরু করেছে শীতের তীব্রতা। কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে চা বাগান। প্রকৃতির এমন বৈরী আচরণ স্বভাবসুলভ হলেও শীত বস্ত্রের অভাবে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন চা বাগানে বসবাসরত চা শ্রমিকরা। চা বাগান এলাকায় প্রতিদিন কমছে তাপমাত্রা ফলে দৈনন্দিন কাজকর্ম ও শ্রমিকদের প্রাণ চাঞ্চল্যে দেখা দিয়েছে ভাটা।
১৯শে নভেম্বর সোমবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র জানায়, সোমবার সকাল ৯টায় ১৩.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এই শীত মৌসুমের এ পর্যন্ত এটি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলেও জানায় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের আবহাওয়াবিদ মো. মুজিবুর রহমান জানান, ১৩.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এই শীত মৌসুমের এ পর্যন্ত এটি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এদিকে শীত বস্ত্রের অভাবে মৌসুমের শুরুতেই চরম দুর্ভোগে পড়েছেন জেলার ছোট বড় ৯২টি চা বাগানে বসবাসরত চা শ্রমিকরা। প্রতিদিন তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশা উপেক্ষা করে শ্রমিকদের কাজে যেতে হচ্ছে। এখন পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারিভাবে চা বাগানগুলোতে পৌঁছেনি কোন শীত বস্ত্র। তাছাড়া বাজার থেকে শীতের গরম কাপড় কেনার মতো সামর্থ্য না থাকায় এই মৌসুমে তাদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছে।