শান্তনু বিশ্বাস, গোবরডাঙা:
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
২৩ শে ফেব্রুয়ারি থেকে উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙার সরকার পাড়া এলাকায় শুরু হয় ৪ দিন ব্যাপী বিরাট “রঙ্গ মহোৎস”। এই “রঙ্গ মহোৎস”টি চলবে আগামী ২৬ শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। আর প্রতিদিনই মঞ্চস্থ হবে তিনটি করে নাটক অর্থাৎ মোট ১২টি নাটক দেখান হবে এই মঞ্চ থেকে। তবে এই “রঙ্গ মহোৎসব”-টি উদ্ভদন করেন বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব প্রকাশ ভট্টাচার্য , রাজ্যের সংগীত ,নাটক ও দৃশ্যকলা এ্যাকাডেমির সদস্য সচিব হৈমন্তী চট্টোপাধ্যায় সহ এলাকার পৌর প্রতিনিধিরা।
মূলত বেশ কয়েক বছর আগেও গ্রাম্য এলাকায় নাটকের একটা বিশেষ চল ছিল কিন্তু যত বছর ঘুরেছে এবং মানুষ যত আধুনিক হয়ে উঠছে তত যেন ধীরে ধীরে মানুষের জীবন থেকে সব পুরনো জিনিস হারিয়ে যেতে বসেছে। আর তাদের মধ্যে রয়েছে নাটক যা বর্তমানে প্রায় অবলুপ্তির পথে। এক্ষেত্রে নাটকের এক অন্যরূপ বা অন্যদিশা দেখালেন রবীন্দ্র নাট্য সংস্থা অর্থাৎ সমাজে পিছিয়ে পড়া ছেলে-মেয়ে,বস্তিবাসি ,স্কুলছুট বা অনাথ ছেলে-মেয়েদের নিয়েই গড়ে ওঠা এই দল সমাজের এই সমস্ত মানুষগুলোকে স্বনির্ভর করতেই তাদের এই উদ্যোগ বলে জানান রবীন্দ্র নাট্য সংস্থার আয়োজক তথা কর্নধার বিশ্বনাথ ভট্টাচার্য ।
উল্লেখ্য ১৯৯৫ সালের ৯মে গোবরডাঙার রবীন্দ্র নাট্য সংস্থার পথ চলা শুরু হয়। প্রথমে হাতে গোনা ২-৪ জন সদস্য নিয়েই কাজ শুরু হলেও বর্তমানে এই সংস্থার সদস্য সংখা ৭৫ জন। উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙা সরকার পাড়া এলাকায় গড়ে ওঠে এই নাট্যদলটি। নাট্যদলটি তৈরি করেন বিশ্বনাথ ভট্টাচার্য। তাঁর এই নাট্যদলটি রেলবস্তি ,স্কুল ছুট বা অনাথ বাচ্চাদের নিয়েই ক্রমে বড় হয়ে উঠতে থাকে।
এমনকি থিয়েটার করতে এগিয়ে এসেছে এলাকার বহু বাসিন্দারাও। বিশিষ্ট নাট্যকার প্রকাশ ভট্টাচার্য বলেন, “ভালো নাটক দেখতে চায় শ্রোতারা, আর তাই তাদের জন্যই বেচে থাকে নাট্যদলগুলি”। সেক্ষেত্রে তিনি আরও বলেন, এধরনের উদ্যোগ আরো হওয়া দরকার।
রাজ্যের সংগীত ,নাটক ও দৃশ্যকলা অ্যাকাডেমির সদস্য সচিব হৈমন্তী চট্টোপাধ্যায় বলেন, বর্তমানে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার নাট্য দলগুলোকে আর্থিক সাহায্যও করছেন, এমনকি নতুন প্রজন্মও নাটকে আগ্রহ দেখাচ্ছে । কিন্তু রাজ্যে নাটক পরিবেশন করার মঞ্চের সংখ্যা কম হওয়ায় সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে নাট্য দল গুলিকে।