শান্তনু বিশ্বাস, ঠাকুরনগরঃ বীণাপাণি দেবীর জন্ম শতবর্ষ পালন অনুষ্ঠানে ঠাকুরনগর ঠাকুর বাড়ির মাঠে এসে ঠাকুর বাড়ির সৌন্দর্য সহ বাড়ি ঢোকার মুখে দুটি গেট করার কথা ঘোষণা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। মতুয়া মহাসংঘের প্রধান বড়মা বীণা পাণি দেবীকে ‘জন্মশতবর্ষের’ শুভেচ্ছা জানাতে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন নির্ধারিত সময় ছিল ১:৩০ কিন্তু তাঁর আগেই হেলিকপ্টার করে নামে অস্থায়ী হলিপ্যাডে। তার পর সড়ক পথ ধরে ১:১০ মিনিট নাগাদ চলে আসেন মূল মঞ্চে। প্রথমে তিনি ঠাকুরবাড়িতে বড়মা বীণাপানির ঘরে গিয়ে তাঁকে প্রণাম করেন। সাথে ছিলেন তাঁর বৌমা মমতা বালা ঠাকুর। সেখান থেকে হুইল চেয়ারে করে বড়মাকে নিয়ে মঞ্চে আসেন।
এরপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা ব্যানার্জী বলেন, “এন.আর.এস নিয়ে অসমে বাঙালি খেদাও হচ্ছে। গুজরাতে বিহারীদের খেদাও হচ্ছে। আমরা ওসব করি না। আমরা তাদের পাশে আছি। অসমে বাঙালি খেদাও হলে তারা যেন ভাবে বাংলাটা তাদের ঘর। বাংলায় কথা বলাটা কোনও অপরাধ নয়। যারা বাংলাদেশ থেকে উদ্বাস্তু হয়ে এসেছেন, ১৯৭১ সাল পর্যন্ত যারা এদেশে এসেছেন তারা এদেশের নাগরিক। আপনাদের ভোটার কার্ড আছে, রেশন কার্ড আছে। আপনারা ভারতে থাকেন এটাই তো আপনাদের পরিচয়। কিন্তু NRC-র নামে এখন নোংরা রাজনীতি হচ্ছে। এটাকে আমরা সমর্থন করি না। মনে রাখবেন আমিও আপনাদের একজন সদস্য।”
এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই ঠাকুরনগরে একটি কলেজের পর আরো একটি বিশ্ববিদ্যালয় করার কথা ঘোষণা করেন। বলেন, “আমাদের হরিচাঁদ ঠাকুর, গুরুচাঁদ ঠাকুরের নামে একটা বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করব। জমি দেখা হয়েছে। চাঁদপাড়ায় ৮.৮ একর। কৃষি বিভাগ থেকে শিক্ষা দপ্তরকে জমি দেওয়া হয়েছে। আজই বোর্ড লাগানো হবে। এর আগে আমরা কলেজ করেছি। এবার বিশ্ববিদ্যালয় করব। মতুয়া সংঘের আন্দোলনের এটাই প্রাপ্ত সম্মান। পাশাপাশি তিনি জেলাশাসককে নির্দেশ দেন ঠাকুরবাড়ির সৌন্দর্যায়ন করার জন্য। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “আমাদের সব থেকে বড় সম্মান বঙ্গবিভূষণ বড়মার হাতে তুলে দিলাম। আমার পক্ষ থেকে যা করার আমি তা করে দিলাম।”