অর্ণব মৈত্র, হাসনাবাদঃ গত ২৪ শে আগস্ট হাসনাবাদের আষাড়িয়া নারায়ণপুর গ্রামের বছর ১৪-এর এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল প্রতিবেশী সবুজ মন্ডল সহ চার যুবকের বিরুদ্ধে। ওই মামলার মূল অভিযুক্ত সবুজ মন্ডল বর্তমানে জেল হেফাজতে থাকায় মামলা তুলে নেওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত চাপ সৃষ্টি করা হয় নির্যাতিতার পরিবারের উপর। মামলা তুলে না নেওয়ায় নির্যাতিতার বাবাকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখনো হয়। সেই ঘটনার পর থেকে ঘরছাড়া নির্যাতিতার বাবা। ফের ১৪ই নভেম্বর সন্ধ্যার পরে আবারো হামলার শিকার হতে হয় ওই নির্যাতিতা নাবালিকাকে।
অভিযোগ, এদিন সন্ধ্যার পরে ঘরের তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে ওই নাবালিকাকে বিবস্ত্র করে মারধর করে তারই কিছু আত্মীয়। নির্যাতিতা নাবালিকার আত্মীয় আকিরুল গাজী, আনারুল গাজী, আব্দুল্লাহ গাজী, সহ বাকিরা ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চাপ সৃষ্টি করে তাদের পরিবারের উপর।
হামলার বিষয় উল্লেখ করে নির্যাতিতার বাবা বলেন, “স্কুল থেকে ফেরার পথে আমার মেয়েকে নেশার দ্রব্য খাইয়ে বেহুঁশ করে রাস্তায় ছেড়ে দেয়। ওই অবস্থায় আমার মেয়েকে মারধর করেছে। আবার বাড়িতে এসে রাতে হামলা করে আমারই আত্মীয়রা। মেয়েকে বিবস্ত্র করে ঘরের মধ্যে বেধড়ক মারধর করে তারা”।
প্রসঙ্গত গত ২৩ শে আগস্ট একই ভাবে স্কুল থেকে ফেরার পথে সবুজ মন্ডল রাস্তা থেকে ওই নাবালিকাকে তুলে নিয়ে যায় নির্জন স্থানে। তাকে গণধর্ষণ করা হয় বলে পরের দিন হাসনাবাদ থানায় অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতার বাবা। তারপর থেকে মামলা তুলে নিতে লাগাতার হুমকির বিষয় জানানোর পরও পুলিশ কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলে মহিলা কমিশনের দ্বারস্থ হন তিনি।
আর তারই পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ই নভেম্বর বৃহস্পতিবার টাকি গ্রামীণ হাসপাতালে আক্রান্ত নাবালিকাকে দেখতে আসেন জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনার অনন্যা চক্রবর্তী। নাবালিকাকে দেখার পরে হাসপাতাল থেকে হাসনাবাদ থানায় গিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। নাবালিকার উপর হামলার পিছনে জড়িতদের গ্রেফতার ও তাদের কঠোর শাস্তির দাবীতে পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হবে বলে জানান অনন্যা চক্রবর্তী।