শান্তনু বিশ্বাস, বসিরহাট:
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
২২ শে ফেব্রুয়ারি বিকেলে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট থানার গোকনা পূর্ব পাড়ায় নিজের বাড়ি থেকে গলা কাটা মৃতদেহ উদ্ধার হয় কুড়োন সর্দার নামক এক ব্যক্তির। মূলত ঘরের মেঝেতে গলাকাটা অবস্থায় পরে ছিল কুড়োন। এরপর পুলিশ এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করেন। যদিও এই ঘটনায় কুড়োনের দাদা-হারান সর্দার বসিরহাট থানায় একটি খুনের অভিযোগ দায়ের করেন এই মর্মে- ” আমার ভাই- কুড়োন সর্দারকে খুন করা হয়েছে , তাঁর খুনের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হোক “।
সুত্রের খবর, একই পাড়ায় বাড়ি কুড়োন সর্দার ও তাঁর শালা ফজলুর মণ্ডলের। এমনকি মৃত কুড়োনের সাথে ফজলুর মন্ডোলের স্ত্রীর (শালাবৌ) বহুদিন ধরেই একটা অবৈধ সম্পর্ক ছিল ৷ আর এই ঘটনাটি কুড়োনের স্ত্রী- সেরীনা বিবি ও শালা- ফজলুর কোন ভাবেই মেনে নিত পারেননি ৷ এমনকি এর আগেও এই ঘটনা নিয়ে বহুবার অশান্তি হয়েছে তাদের মধ্যে ৷ তবে কি ওই কারনেই খুন হতে হল কুড়োনকে? এমনটাই মনে করছেন গ্রামের একাংশ।
পুলিশি সুত্রে খবর, এই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্তে নেবে এলাকায় দফায় দফায় মানুষের সাথে কথা বলে এবং কুড়োনের শালা-ফজলু মণ্ডলকে পুলিশ আটক করে জিঙ্গাসাবাদ করে। তবে ফজলুরের কথায় অসঙ্গতি ধরা পড়লে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে এবং ২৩ শে ফেব্রুয়ারি ফজলুরকে ৭ দিনের পুলিশি হেপাজতে চেয়ে বসিরহাট আদালতে তোলা হলে আদালত ৫ দিনের পুলিশি হেপাজত মঞ্জুর করেন। বর্তমানে এই ঘটনার তদন্তে বসিরহাট থানার পুলিশ।