অরিন্দম রায় চৌধুরী ও শর্বাণী দে, ব্যারাকপুরঃ শুধু কলকাতার বুকেই নয়, রাজ্যজুড়েই প্রতিবাদে সরব হবে তৃণমূল। কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি রাজ্যের সমস্ত শহর, জেলা সদর, ব্লকে ব্লকে বিক্ষোভ চলবে। স্থানীয় নেতৃত্বকে আহ্বান জানানো হয়েছে প্রতিবাদে গর্জে উঠতে। অসমে নির্মমভাবে বাঙালি হত্যার পর কেউ চুপ করে বসে থাকবে না। গর্জে উঠবে সবাই।
সেই মত বিকেল ৫টার সময় একটি প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করে ব্যারাকপুর শহর তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে। অপরদিকে ঠিক একই সময় আরও একটি প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করে রাকপুর যুব তৃণমূল কংগ্রেস। ব্যারাকপুর শহর তৃণমূল কংগ্রেস এর ডাকা প্রতিবাদ মিছিলের নেতৃত্ব শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দেন সুধাংশু পাল ও যুব তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকা প্রতিবাদ মিছিলটির নেতৃত্বে ছিলেন ব্যারাকপুর পৌরসভার পৌরপ্রধান উত্তম দাস। সুধাংশু পালের নেতৃত্বে শহর তৃণমূল কংগ্রেসের মিছিলটি ব্যারাকপুর ষষ্টিতলা থেকে মিছিল টি শুরু হয়ে ব্যারাকপুর চিড়িয়ামোড়ে এসে সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কুশপুতুল পোড়ানো হয়।
[embedyt] https://www.youtube.com/watch?v=1B9_LOxTS_Y[/embedyt]
এই বিষয় বলতে গিয়ে সুধাংশু পাল বলেন, “ইতি মধ্যেই সারা বিশ্ব অসমের ৫জন বাঙালির নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে অবগত হয়ে গেছে। বাংলার মানুষ কখনই চুপ থাকতে পারে না কারণ বাংলার মানুষই সারা দেশকে আন্দোলন শেখায় আর সেই আন্দোলনের জনই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজকে আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন এই প্রতিবাদ গড়ে তোলার জন্য।” তিনি আরও বলেন, “আমাদের এই আন্দোলন থামবে না, যতদিন অসমের সমস্যার একটা শুষ্ট সমাধান হচ্ছে। যেভাবে বিজেপি হিন্দুদের নিয়ে মাতামাতি করছে আবার সেই হিন্দুদেরই নিধন করছে তাতে তাড়া যে কোন রাজনীতি করছে তা আমরা জানি না। আমরা সাম্প্রদায়িকের বিরুদ্ধে, আমরা অসমের এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। আগামী দিনে আমরা আরও বড় আন্দোলন মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বে করবো এই প্রতিজ্ঞাই আজকে এই মিছিল থেকে করলাম।”
একা শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই নন, সোশাল মিডিয়ায় প্রোফাইল পিকচার কালো করে প্রতিবাদে সরব হয়েছে অগণিত বাঙালি। তাঁরা বুঝিয়ে দিতে চাইছে দেশের ইতিহাসে কালো দিন হিসেবে চিহ্নিত হবে অসমের গণহত্যা।