অর্ণব মৈত্র, মিনাখাঁঃ রাস্তা সংলগ্ন মেছো জমি দখল করাকে কেন্দ্র করে ভাঙচুর, মারধোর, হুমকির অভিযোগ একে অপরের বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্তে মিনাখাঁ থানার পুলিশ। প্রকাশ, মিনাখাঁর কলকাতা-বাসন্তী হাইওয়ে সংলগ্ন মিনাখাঁ গ্রামপঞ্চায়েতের পাশে নন্দলাল মণ্ডল নামে এক ব্যক্তির জমি মেছো জমি আছে।
১৯৭৫ সালে এই জায়গা পাট্টা হয় নন্দলাল মণ্ডলের, এমন দাবী নন্দলাল বাবু। বর্তমানে এই জায়গাতে আব্বাসউদ্দিন মোল্লা নামে এক ব্যক্তি মাছ চাষ করে। এই জায়গা মাছ চাষ করার জন্য লিজ টাকার পরিবর্তে বিগত কয়েক বছর ধরে আব্বাসউদ্দিন মোল্লা জমির মালিক নন্দলাল মণ্ডলকে প্রতিবছরে কিছু কিছু খাওয়ার মাছ দিতো। কিন্তু বিগত বছর খানেক আগে জমি মালিক নন্দলাল মণ্ডল জমি লিজ টাকার জন্য দাবী করেন। কিন্তু সেই লিজ টাকা দিতে অস্বীকার করে ফিসারী মালিক আব্বাসউদ্দিন মোল্লা। এই ফিসারী মালিকের দাবী তার ফিসারীতে নন্দলাল মণ্ডলের কোন জায়গা নেই।
মুলত এই নিয়ে দুই বার জমি মাপা হলে সে মাপ মেনে নেয়নি আব্বাসউদ্দিন মোল্লা। এরপর গত কয়েক দিন আগে নন্দলাল মণ্ডল তার জমি দখল করার জন্য একটি অস্থায়ী ঘর তৈরী করে। সেই ঘর ২৮ শে অক্টোবর গত রবিবারবার রাতে আব্বাসউদ্দিন মোল্লা সহ বেশ কিছু দুস্কৃতি ভেঙে দেয়। এই ঘর ভেঙে দেওয়ার প্রতিবাদ করতে গেলে নন্দলাল মণ্ডলের পুত্র, পুত্রবধু ও তার দুই মেয়েকে ধর্ষন, খুনের হুমকি দেয়।
এরপর এই নন্দলাল মণ্ডলের ছেলে, জামাই সহ আরো কিছু ব্যক্তি সোমবার রাতে আব্বাসউদ্দিন মোল্লার আলা ঘরে গিয়ে হামলা চালায়। আব্বাসউদ্দিন মোল্লার অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নন্দলাল মণ্ডলের কিছু লোক তার ফিসারীর পাহারাদার দের মারধোর করে, কিছু নগদ টাকা ও মাছ ধরে নিয়ে যায়। তবে এই অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা বলে দাবী করেছে জমির মালিক নন্দলাল মণ্ডল সহ তার পরিবারের লোকেরা। ইতিমধ্যে গোটা ঘটনার তদন্তে মিনাখাঁ থানার পুলিশ।