ওয়েব ডেস্ক, বেঙ্গল টুডেঃ দমদম পার্কে প্রোমোটার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় তিনজনকে আটক করে জেরা করছে পুলিশ। যদিও এখনও ফেরার বাবু নায়েক। তার সন্ধান পেতে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছে বিধাননগর পুলিশের একটি দল। যদিও বাবু এলাকা ছেড়ে পালাল কীভাবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অন্যদিকে দুষ্কৃতী বাবু নায়েকের সঙ্গে বিজেপি নেতা পীযূষ কানোরিয়ার ছবি সামনে আসায় রাজনৈতিক কাদা ছোড়াছুড়ি শুরু হয়েছে। বিধাননগরের বিধায়ক সুজিত বসু একটি ছবি দেখিয়ে বলেন, পীযুষের সঙ্গে বাবু নায়েকের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তিনি আরও জানান, কয়েক মাস আগে বাবু নায়েক যখন জেল থেকে ছাড়া পায় তখন পীযূষ নাকি তাকে বরণ করে বাইকে চাপিয়ে এলাকায় ঘুরে বেড়িয়েছিল।
যদিও পীযূষ কানোরিয়া সেই অভিযোগ খারিজ করে জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে বাবু নায়েকের কোনও সম্পর্ক নেই। ছবিটি যে তাঁর তা মেনে নিয়ে তিনি জানান, ছবিটি বছর দশেক আগের। দোলের সময় হরিজন বস্তি এলাকায় তিনি গেছিলেন। সেই সময় অনেকেই তাঁকে জড়িয়ে ধরেছিল। তিনি তা খেয়াল করেননি।
৩৯৫ দমদম পার্কে একটি বহুতল বানাচ্ছিলেন শেখর পোদ্দার এবং চিরদীপ রায়। নির্মীয়মাণ সেই বহুতল ২৭ শে অক্টোবর শনিবার সকালে দেখতে আসেন বেশ কয়েকজন গ্রাহক। হঠাৎই সেখানে মুখে কালো কাপড় বাঁধা দুই বাইক আরোহী এসে দাঁড়ায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা শেখরকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। হাতে গুলি লেগে ঘটনাস্থানেই লুটিয়ে পড়েন শেখর। সঙ্গে সঙ্গেই জড়ো হয়ে যান স্থানীয়রা। বিপদ বুঝে চম্পট দেয় ওই দুই দুষ্কৃতী। স্থানীয়রা শেখরকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে। শেখরের পার্টনার তথা আরেক প্রোমোটার চিরদীপ রায় অবশ্য হামলা থেকে নিজেকে বাঁচাতে সমর্থ হন।
সূত্রের খবর, পুজোর সময় শেখর মোটা টাকা তোলা দেয় গেদুকে। সেই ঘটনা জানতে পারে বাবু নায়েকের দলবল। শেখর পুজোর সময় আর্থিক লোকসানের সম্মুখীন হন। সেই কারণে তাঁর বদলে চিরদীপ রায়ের কাছে মোটা টাকা দাবি করে বাবু নায়েকের দলবল। ফোন করে তাঁকে হুমকিও দেওয়া হচ্ছিল। জানা যাচ্ছে, দুষ্কৃতীদের মূল টার্গেট ছিল চিরদীপই। কিন্তু, শেখর তোলা চাওয়ার প্রতিবাদ করাতে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে বসে বাবু নায়েকের লোকজন।