অর্ণব মৈত্র, স্বরুপনগরঃ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বরূপনগরের কৈজুরী এলাকার বাসিন্দা রাজেশ পান্ডে কাজ করতেন স্বরূপনগরের বিথারী বকুলতলা এলাকার একটি মোটরসাইকেল গ্যারেজে। বৃহস্পতিবার বিকালে ওই গ্যারেজ এর ভিতরে রাখা একটি ব্যাগ সরাতে গিয়ে আচমকাই বোম ফেটে যায় গ্যারেজের ভিতরে। বোমা ফেটে গুরুতর জখম হন ওই গ্যারেজ কর্মী। তার বাম হাত ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় ও শরীরের বেশ কিছু জায়গায় জখম হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় স্থানীয়রাই ওই গ্যারেজ কর্মীকে স্থানীয় সারাপুল প্রাথমিক হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে রেফার করা হয় কলকাতার আরজিকর মেডিকেল হাসপাতালে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, স্বরূপনগরের বিথারী পঞ্চায়েতের এক তৃণমূল নেতার আত্মীয় শাহিন গাজীর গ্যারেজে কাজ করতেন রাজেশ পান্ডে। তারই গ্যারেজের ভিতর রাখা বোমার ব্যাগ থেকে বোমা ফেটে জখম হন তিনি। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন স্বরূপনগর থানার পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে তদন্তের সময় গ্যারেজ মালিক শাহিন গাজী পুলিশকে জানায়, “স্বরূপনগরের দত্তপাড়ার বাসিন্দা হান্নান গাজি ওই ব্যাগটি রেখে গিয়েছিলেন শাহিনের দোকানে।” হান্নান গাজী ও শাহিন গাজী সকলেই তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত ওই এলাকায়। গ্যারেজের মধ্যে বোম মজুৎ করার পিছনে নাশকতার চক্রান্তের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে। অভিযোগ, বিজয়া দশমী উপলক্ষে আগামী রবিবার ওই এলাকায় প্রতিমা বিসর্জন করা হয় সোনাই নদীতে। প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে প্রচুর মানুষের সমাগম হয় এদিন। আর সেখানেই নাশকতার ছক করা হয়েছিল। ঘটনার তদন্তে নেমে প্রথমেই গ্যারেজটি সিল করে দেওয়া হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। সেই সঙ্গে গ্যারেজ মালিক শাহিন গাজীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায় স্বরূপনগর থানার পুলিশ। হান্নান গাজির খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। এ বিষয় স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও সংবাদমাধ্যমকে এড়িয়ে যান তারা।