শান্তনু বিশ্বাস, হাবড়া:
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
ঠিক যেন সিনেমার গল্পের ন্যায় ফুটে উঠল দুই প্রেমিক প্রেমিকার কাহিনী। আর তাতে শান্তি ও আশ্বাস প্রদান করে সুখময় করে তোলেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ঘটনাটি হল হাবড়ার বানীপুরের। দুজন প্রাপ্তবয়স্ক যুবক যুবতির মধ্যে প্রেম কিন্তু তাদের ভালোবাসার মধ্যে বাধা হয়ে দাঁড়ালেন মেয়ের বাবা। কারন ছেলে মধ্যবিত্ত ঘরের এবং মেয়ে প্রভাবসালি পরিবারের। তবে তাদের ভালোবাসা বাধ মানেনি। অর্থাৎ ১৮-২-২০১৮ তারিখ তারা পুরুত ডেকে ছেলের মামাবাড়ি গিয়ে বিয়ে করে কিন্তু বিয়ের পরও তারা মেয়ের পরিবারের ভয়ে আত্মগোপন করে। পরে সংবাদ মাধ্যমের দ্বারা ঘটনার প্রকাশ ঘটায় ২২ শে ফেব্রুয়ারি সকালে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ছায়াসঙ্গী মনজ রায়ের কাছে গিয়ে নবদম্পতি তন্ময় দেবনাথ ও মৌসুমি সাহা পুরো ঘটনা জানালে, মনজ বাবু ফোনে খাদ্যমন্ত্রীর সঙ্গে নবদম্পতীকে কথা বলায়।
এরপর জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক তাদের সমস্থ বিষয়ে পাশে থাকার আশ্বাস দেন পাশাপাশি তিনি বলেন দুই পরিবার একত্রিত হয়ে যদি মিলন অনুষ্ঠান করে তাহলে তিনি স্বয়ং সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হবেন বলেও জানান। অপরদিকে হাবড়ার বানীপুর মহিলা কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী মৌসুমি সাহা বিয়ের পর আত্মগোপন থাকার দরুন কলেজের দুটি টেস্ট পরীক্ষা দিতে পারেনি সেক্ষেত্রেও জ্যোতিপ্রিয় বাবু আশ্বাস দেন সেই পরীক্ষার বিষয়টি নিয়ে কলেজের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধান করবেন। বর্তমানে খাদ্যমন্ত্রীর থেকে আশ্বাসের বানী পেয়ে খুশি নবদম্পতী ও তার পরিবার ।
এমনকি এই ঘটনার খবর পাওয়ার পর অবশেষে মেয়ের বাবাও ফোন মারফত মেয়েকে আশির্বাদ করেন এবং মৌসুমির বাবা ও মা তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন ‘আমরা মেয়েকে খুজতে গিয়েছিলাম ,একটু কথা বলতে চেয়েছিলাম ৮-১০ জন আত্মীয় ছিল আমাদের সঙ্গে এছাড়া কিছুই হয়নি। আমাদের ওরা চা খাইয়ে আতিথেও তাও করে। কিন্তু ছেলে মেয়ে কেউই ওখানে ছিল না। তবে সংবাদ মাধ্যমের মারফত তারা দূর থেকে আশির্বাদ করেন যাতে তাদের মেয়ে সুখি হয়।