শান্তনু বিশ্বাস, হাবড়াঃ ঘটনাটি ঘটে উওর ২৪ পরগনার হাবড়া থানার অন্তরগর্ত হাটথুবা ঘোষপাড়া এলাকায়। খুনের অভিযোগ দায়ের করে আত্মঘাতীর পরিবার। অশোকনগর থানার অন্তরগর্ত রাধাকেমিকেল এলাকার বাসিন্দা পেশায় গাড়ি চালক রতন নট্ট, পারিবারিক বিবাদের জেরে কয়েক মাস আগে হাবড়া থানার হাটথুবা ঘোষপাড়া এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে দুই ছেলে মেয়ে, স্ত্রীকে নিয়ে থাকতো। রবিবার ভোরে স্ত্রী শিলা নট্ট ঘুম থেকে উঠে দেখেন বাড়ির বাইরে একটি সুপারি গাছে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছে। সাথে সাথে স্থানীয় লোকজনকে ডাকা ডাকি করে। পরে খবর পেয়ে হাবড়া থানার পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে হাবড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষনা করে।
মৃত ব্যাক্তি রতনের ভাই মানিক নট্টের অভিযোগ, বৌদি শিলা নট্ট একাধিক সম্পর্কে লিপ্ত যা দাদা মেনে নিতে পারেনি তাই মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছে। অভিযোগ দায়ের করেছে হাবড়া থানায়। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে হাবড়া থানার পুলিশ। মৃতার স্ত্রী শিলা নট্টের অভিযোগ, রোজ রাতে মদ্যপান করে বাড়িতে আসতো রতন, তাই নিয়ে রোজ অশান্তি লেগে থাকতো। শনিবার রাতেও মদ্যপান করে বাড়িতে আসে এবং তাই নিয়ে প্রতিবাদ করলে অশান্তি বেধে যায় তাদের ভেতর। রাতেই রতন নিজের বাড়িতে যাচ্ছি বলে বেড়িয়ে যায় শ্বশুর বাড়ি থেকে। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখেন গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে সে। ঘটনায় মৃতের স্ত্রীকে ৭ই অক্টোবর দুপরে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে হাবড়া থানার পুলিশ। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য বারাসাত হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।