রাজীব মুখার্জী, বালি, হাওড়াঃ আগুন নিয়ে আতঙ্কের ঘটনায় রাজ্য বাসি সত্যি খুব ভীত ও সন্ত্রস্ত। সেই আতঙ্কের ছবি আবার স্পষ্ট হলো ৪ঠা অক্টোবর বালি স্টেশনে। সকাল ১০টার ডাউন শ্রীরামপুর লোকাল, অফিস টাইমে তখন স্টেশন ভালোই ভিড় ছিল। ট্রেনটি স্টেশনে থামার সঙ্গে সঙ্গেই ট্রেনে ওঠার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। সবাইকে আগে উঠে সিটে বসতে হবেই। হুড়মুড়িয়ে ট্রেনে উঠে পড়েন যাত্রীরা. আর তারপরই ঘটে ঘটনাটি। চলন্ত ট্রেনে আগুন আতঙ্কে লাফিয়ে ট্রেন থেকে নেমে পড়লেন যাত্রীরা। এদিন সকালে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার বালি স্টেশনে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ থেকে জানা যাচ্ছে, ট্রেনটি বালি স্টেশন ছাড়ার পরই হঠাত্ ধোঁয়া লক্ষ্য করা যায়। সঙ্গে সঙ্গেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, ট্রেনে আগুন লেগেছে শুনেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। আতঙ্কিত যাত্রীদের মধ্যেই কেউ চেন টেনে দাঁড় করায় ট্রেনটিকে। আর তারপরই দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয় ট্রেনটিকে স্টেশন ছেড়ে বেরিয়ে কিছুটা দূরে গিয়ে। লাফিয়ে ট্রেন থেকে লাইনের উপরই নেমে পড়েন আতঙ্কিত যাত্রীরা। বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর ১০ টা ৩০ নাগাদ ট্রেনটি বালি ছেড়ে যায়। ১১ টা নাগাদ ট্রেনটি হাওড়া পৌঁছয়। তারপর সেটিকে কারশেডে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলে রেল সূত্রে জানা গেছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ট্রেনের ২টি কম্পার্টমেন্টের মধ্যে শর্ট সার্কিটের জেরেই সম্ভবত ধোঁয়া বের হয়েছিল, আর তা দেখেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। প্রসঙ্গত, বুধবারই আগুন লাগে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের এইচ.এম.সি বিল্ডিংয়ের মেডিসিন কাউন্টারে। সেই ঘটনায় ১ জন রোগীর মৃত্যুও হয়েছে। রেলের জি. আর. পি. এফ. ও স্টেশন মাস্টারের থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।