অরিন্দম রায় চৌধুরী, ব্যারাকপুরঃ ৩০শে সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিনে রাতের দিকে কলকাতা থেকে সোদপুর নিবাসী সুস্মিতা দাস ও তার স্বামী রাজ কিশোর দাস একটি সাউন্ড সিস্টেম কিনে আপ ৩১৫৩৫ শান্তিপুর লোকাল এ উঠে নিজের বাড়ীর উদ্যেশে রওনা দেন। এমনিতেই সেই সময় অফিস যাত্রীদের ভীর থাকে কোনমতে ট্রেনের বাঙ্কে সদ্য কেনা সাউন্ড সিস্টেমটি রেখে দাঁড়িয়ে থাকে। সোদপুর স্টেশন আসলে যেমনটা রোজ হয়ে থাকে বেশীর ভাগ অফিস ফিরতি মানুষ তড়িঘড়ি করে নেমে পড়ে। সেই স্রোতের ঠেলায় এই দম্পতিকেও নেমে পড়তে হয়ে প্ল্যাটফর্মে।
ট্রেন প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে চলে যাওয়ার পর তাদের মনে পড়ে যে তাদের সদ্য কেনা সাধের সাউন্ড সিস্টেমটি ট্রেনের বাঙ্কের উপরেই রয়ে গেছে। তাড়াহুড়ো করে নামার সময় যা তারা বেমালুম ভুলে গিয়েছিল। মনে পড়ার সাথে সাথে তাদের মাথায় হাত। মন খারাপ নিয়ে তারা গিয়ে দ্বারস্থ হয়ে সোদপুর ষ্টেশনের ষ্টেশন মাস্টারের কাছে। ষ্টেশন মাস্টার সব শুনে রাত ৮টা ২২ নাগাদ সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করেন ব্যারাকপুর আর পি এফ দফতরের সাথে। কর্তব্যরত আর পি এফ অফিসার নেপাল মণ্ডল সব শোনার পর তড়িঘড়ি ছোটেন ব্যারাকপুর ষ্টেশনের ১এর এ প্ল্যাটফর্মে। ৮টা ৩৪ মিনিট নাগাদ প্ল্যাটফর্মে আপ শান্তিপুর লোকাল ঢুকে পড়ে। হাতে মাত্র এক মিনিট সময় আছে ট্রেনটি প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে বেড়িয়ে যাওয়ার। সঙ্গে সঙ্গে অফিসারের বুধিমত্ব্যায় ট্রেনের প্রথম কামরায় উঠে পড়ে আর পি এফ বাহিনী তন্নতন্ন করে খোজার পর অবশেষে পাওয়া যায় সোদপুরের দম্পতির খোয়া যাওয়া সাউন্ড সিস্টেম।
এরপর আবার ট্রেন থেকে নেমে সোদপুরের ষ্টেশন মাস্টারের সাথে যোগাযোগ ও রাত ৯টা ৩০ মিনিট নাগাদ খোয়া যাওয়া সাউন্ড সিস্টেম দম্পতির হাতে তুলে দিলেন আর পি এফ অফিসার নেপাল মন্ডল। একদিকে তখন যেমন দম্পতির চোখে মুখে খুশির চিহ্ন ফুটে উঠেছে আবার অপরদিকে আর পি এফ অফিসার নেপাল মণ্ডলের চোখে মুখে এক প্রশান্তির ছাপ।