জয় চক্রবর্তী, বনগাঁঃ বিজেপি-র ডাকা ১২ঘন্টার বন্ধে বনগাঁ রেল স্টেশনে সাড়ে সাতটা থেকে অবরোধ শুরু হয় চলে ন’টা পর্যন্ত। অবরোধ আধঘন্টা চললেও টেকনিক্যাল কারণে ট্রেন ছাড়তে দেরি হয় বলে সূত্রে খবর। পাশাপাশি সকাল সাতটা থেকে ঠাকুরনগর স্টেশন, গোবরডাঙা স্টেশন ও মসলন্দপুর স্টেশনে অবরোধ শুরু হয়। পরে জিআরপি পুলিশ ও আরপিএফ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলে অবরোধ তুলে দেয়। এদিন বনগাঁ স্টেশন ও গাইঘাটার বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূল সমর্থকদের বনধ বিরোধী মিছিল করতে দেখা যায়। বাগদা বাজারে সাড়ে আটটা নাগাদ বিজেপি এবং তৃণমূল সমর্থকদের মিছিলে দুই পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয় ৷ তৃণমূল সমর্থকরা রাস্তা থেকে বিজেপি সমর্থকদের হটিয়ে দেয়। গোপালনগর থানার আকাইপুর স্টেশন এলাকায় রেলের ওভারহেড তারে কলাপাতা ফেলে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বনগাঁ থানার চাঁদা পাঁচ মাইলে বিজেপি সমর্থকরা বাগদা-বনগাঁ রোডে অবরোধ শুরু করলে বিজেপির যুব মোর্চার এক জেলা নেতা এবং এক কর্মীকে গ্রেফতার করে বনগা থানার পুলিশ।
এছাড়া বনগাঁ মহকুমা এলাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক। স্বাভাবিক নিয়মে বাজার চলছে ,অন্যদিনের তুলনায় লোক সমাগম কম৷ গোপাল নগর থানার নহাটা বাজারে সরকারি বাস আটকে দেয় বিজেপি সমর্থকেরা।
এই বন্ধ নিয়ে অবশ্য দুই যুযুধান শিবিরের তরফ থেকেই দাবী করা হয় যা একে ওপরের বিপরীত। একদিকে বিজেপি জেলা মোর্চার ভাইস পেসিডেন্ট মধুসূদন মন্ডল বলেন, “আমরা বিভিন্ন জায়গায় অবরোধ করেছি মানুষ এই বনধকে সমর্থন করে তৃণমূলের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে। পুলিশ বেশ কিছু বিজেপি সমর্থকদের গ্রেপ্তার করেছে। যুব মোর্চার নেতা গোবিন্দ বিশ্বাসকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে,আমরা মানুষ কে ধন্যবাদ জানাবো বনধকে সমর্থন করার জন্য।” অপরদিকে আবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হয় বনধ সম্পূর্ণ ব্যর্থ, বনগাঁয় বনধের কোনও প্রভাব পড়েনি বলেও দাবী করেছেন।