শান্তনু বিশ্বাস, দেগঙ্গাঃ উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায় এক মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলাকে ধর্ষণ করে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল প্রতিবেশি এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনায় গ্রেফতার বাবুর আলি নামে এক যুবক। বেশ কয়েকদিন ধরে ভবঘুরে মানসিক ভারসাম্যহীন ওই মহিলা দেগঙ্গা থানার অন্তরগর্ত শেখের মোড় এলাকায় থাকতে শুরু করেন। মুখে কোনও কথাবার্তা না বললেও সকলের কাছ থেকে আকার ইঙ্গিতে কথা বলে খাবার চাইতো এবং খেত ওই মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলা। শনিবার সকালে ওই মহিলার পোশাক ছেঁড়া ও মাথা দিয়ে রক্ত ঝরতে দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। শুক্রবার রাতে ভবঘুরে ওই মহিলার পিছনে পিছনে বাবুর আলী নামে এলাকার এক যুবককে ঘুরতে দেখেছিল কয়েকজন স্থানীয় লোকজন। তাই এলাকার মানুষের তার ওপর সন্দেহ হতেই তাকে ধরে মারধর করলে সে ওই মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলাকে ধর্ষণ ও খুনের চেস্টার ঘটনার কথা স্বীকার করে নেয়। এর পর ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীরা ওই যুবককে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করে দেগঙ্গা থানায় নিয়ে যায় ও পরে গ্রেফতার করে। আহত ওই মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলাকে স্থানীয় বিশ্বনাথপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে, স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে নিয়ে যাওয়া হলে তার মাথায় চারটি সেলাই পড়ে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দেগঙ্গা থানার পুলিশ।