অমিয় দে, দক্ষিণ ২৪ পরগনাঃ উত্তর ২৪ পরগণার বারাকপুরের কালিয়ানিবাস এলাকায়, ঘরে তালা ঝুলিয়ে মাকে বারান্দায় ফেলে রেখে বেড়াতে চলে গিয়েছিলেন ছেলে ও তার সস্ত্রী। গত বৃহস্পতিবারের এই ঘটনা ঘিরে কয়েকদিন ধরে সারা রাজ্য জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। আজ আবার তার পুনরাবৃত্তি ঘটলো দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমা ব্লকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দূর্বা চটি গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম সুরেন্দ্রনগর এলাকায় মৃতা সরজনি দাসের ৩ ছেলে ও দুই মেয়ে। স্বামী অনেক দিন আগে গত হয়েছে। ছোট ছেলে শক্তিপদ দাসের কাছেই থাকতো মৃতা বৃদ্ধা। ছোটছেলের স্ত্রী ষুভাশীনি দাস শাশুড়ির ওপর দিনের পর দিন অমানুষিক অত্যাচার করতো বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ। ছোট ছেলে শক্তিপদ দাস হরিনাম সংকীর্তন করার জন্য ২০শে সেপ্টেম্বর শিলিগুড়ি গিয়েছিল। সেই সুযোগে ছোট বৌমা শাশুড়িকে গোলায় কাপড় দিয়ে ফাঁস মেরে পুকুরের জলে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ। বৃদ্ধাকে পুকুরে ভাসতে দেখে মানুষ জড়ো হতে শুরু করে।
এলাকার মানুষ ছোট বউ মাকে জিজ্ঞাসা করায় চাপে পড়ে শাশুড়ি কে মারার কথা স্বীকার করে নেয়। গ্রামের লোকজন বৌমাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার কিছুক্ষনের মধ্যেই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলেই অভিযোগ গ্রামবাসীদের। এরপরই গ্রামবাসীরা পুলিশের কাছে জানতে চাইলে, হত্যাকারী কে কেনও ছেড়ে দেওয়া হলো, পুলিশ বলেন পিএম রিপোর্টের পরে সব জেনে শুনে তারপরে তাকে গ্রেফতার করা হবে। এই নিয়ে এলাকায় বিশাল উত্তেজনা ছরিয়েছে। ২১শে সেপ্টেম্বর মৃতার মৃত দেহ কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।