অরিন্দম রায় চৌধুরী, কোলকাতা, বেঙ্গলটুডেঃ
স্কুল বাসের সঙ্গে বাইকের সংঘর্ষে মৃত্যু হল এক তথ্য প্রযুক্তি কর্মীর। বুধবার সল্টলেকের নিকো পার্কের সামনে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে মৃত তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীর নাম অমরনাথ শর্মা। বাইক নিয়ে অফিস যাওয়ার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই তথ্যপ্রযুক্তিকর্মীর।
এই একই দিনে ট্রাফিক আইন অমান্য করে রাস্তা পারাপার করতে গিয়ে গুরুতর জখম হলেন ব্যারাকপুর ইন্দিরানগর কলোনির বাসিন্দা ৪৫ বছর বয়েসি প্রমীলা বিশ্বাস। তার পায়ের উপর দিয়ে চলে যায় একটি পণ্যবাহী গাড়ী। ব্যারাকপুর লালকুঠি ট্রাফিক পোষ্টের দায়ীত্বে থাকা সিভিকের তৎপরতায় জখম ওই মহিলাকে সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় বি এন বসু মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে কোলকাতায় আর জি কর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়ে।
নিকোপার্কের সামনে এই দুর্ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখান। স্তব্ধ হয়ে যায় সেক্টর ফাইভ, নিউটাউনগামী গাড়ি চলাচল। যানজট তৈরি হয় চিংড়িঘাটা থেকে সেক্টর ফাইভগামী রাস্তায়। পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে উত্তেজনা প্রশমিত করে। যানজট মুক্ত করে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে এলাকায়।
অপরদিকে যে সিভিকের তৎপরতায় মহিলাকে অতি সত্তর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা সম্ভব হয়ে, সাধারণ মানুষ তার উপরেই চড়াও হয়, ফলে সেই সিভিকও বর্তমানে চিকিৎসাধীন।
উল্লেখ্য কিছুদিন আগেই চিংড়িঘাটায় মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় দুই সাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছিল। সেই ঘটনার জেরে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল এলাকা। এবার সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নেয়। বেপরোয়া গাড়ি চালানোর জন্যই এই দুর্ঘটনা বলে পুলিশের অনুমান। “সেফ ড্রাইভ সেভ লাইভ” প্রচার চললেও যে, সচেতন হচ্ছেন না মানুষ, তা বারবার দুর্ঘটনাই প্রমাণ করে দিচ্ছে।
প্রায় প্রতিদিনই পথ দুর্ঘটনা কেড়ে নিচ্ছে তরতাজা প্রাণ, জখম হতে হচ্ছে বহু সাধারণ মানুষকে। এরপরও কি মানুষ নিজের ভাল বুঝবেন না? প্রশ্ন প্রশাসনের।