শান্তনু বিশ্বাস, বাসিরহাটঃ মাঝেরহাট সেতু ভেঙে যাওয়ায় পর, রাজ্যের বিভিন্ন জরাজীর্ণ সেতু গুলোর উপর নজরদারী চালাচ্ছে রাজ্য সড়ক ও পূর্ত দপ্তর। মানুষের নিরাপত্তার কথা না ভেবে শুধু সৌন্দর্যানের জন্য ভগ্ন সেতু গুলোর উপর দিয়ে নীল সাদা রঙ করে ছিলো রাজ্য সরকার। সৌন্দর্যানের নীল সাদা রঙ এক কথায় অসুস্থ-সেতু গুলোর জরাজীর্ণ রুপ ঢেকে দিলেও সেতুর ভাঙন বা ফাটল গুলো আর ঢাকতে পারেনি রাজ্য সরকার। ঠিক এমনটাই দাবী রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের আতঙ্কগ্রস্ত মানুষের।
মাঝেরহাট সেতু ভেঙে পরায়, রাজ্য সরকারের হুশ ফেরার পর রাজ্যের বেশ কয়েকটি সেতুর উপর দিয়ে ভারী বা পন্যবাহী যান চলাচল নিষিদ্ধ করেছে সড়ক ও পূর্ত দপ্তর। এর ফলে পন্যবাহী বড়ো ট্রাক প্রাবেশ করতে না পারায় লাফিয়ে দাম বাড়ছে বাজারের বিভিন্ন জিনিসের। বেশ কয়েকটি সেতুর আশঙ্কা জনক রুপ নবান্নে পাঠানোর পর ১৬ই সেপ্টেম্বর, রবিবার সকাল থেকে বসিরহাট সেতুর উপর দিয়ে ভারী বা বড় গাড়ী চলাচল নিষিদ্ধ করল সড়ক ও পূর্ত দপ্তর। গত ৬ই সেপ্টম্বর এই বসিরহাট সেতু পর্যবেক্ষন করতে এসে, সেতুর মাঝখানের একটি খুঁটি তে ফাটল দেখতে পায় সড়ক ও পূর্ত দপ্তরের আধিকারিকরা।
সেই রিপোর্ট নবান্নে পাঠানোর পর গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় দপ্তরে ওই অংশ মেরামতের জন্য নির্দেশ আসে। সেই নির্দেশ মতো এই ফাটল আর ফোলা অংশে সারাই-এর জন্য ১৬ই সেপ্টেম্বর সকাল থেকে বসিরহাট সেতুর উপর দিয়ে ভারী বা পন্যবাহী যান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়। ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বহু ট্রাক চালকদের। এই সেতুর উপর বসিরহাট ঘোজাডাঙ্গা সীমান্তে খুব সহজেই পৌঁছে যাওয়া যেত। কিন্তু এখন বাদুড়িয়া হয়ে বেশ কয়েক কিলোমিটার বাড়তি গাড়ি চালিয়ে যেতে হচ্ছে। এ বিষয়ে কথা বললে পূর্ত ও সড়ক দপ্তরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার রানা তারন জানান, “সেতুর মাঝখানের পিলারের মাথায় একটি পেডেস্টালে ফাটল দেখা দেওয়ায় নবান্নকে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে নির্দেশ আসায় এদিন সকল থেকে ভারী গাড়ি চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই মেরামতির কাজ শুরু হবে”।